সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার সকালে গণনা শুরু হতে দেখা গিয়েছিল তেলেঙ্গানার পাশাপাশি ছত্তিশগড়ে এগিয়ে কংগ্রেসই। এমনকী, রাজস্থানেও চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। মধ্যপ্রদেশে সামান্য পিছিয়ে থাকলেও আশা ছাড়েননি সমর্থকরা। কিন্তু বেলা সামান্য গড়াতেই ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে হাত শিবিরের আশা। একমাত্র তেলেঙ্গানা ছাড়া সর্বত্রই ছবিটা চূড়ান্ত হতাশাজনক। এই পরিস্থিতিতে স্পষ্ট, বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের ‘বড়দাদা’ হওয়ার চেষ্টা এর পর হাত শিবিরের পক্ষে করা আর সম্ভব হবে না। বরং ক্রমেই আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী।
প্রসঙ্গত, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের কারণে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের কাজ যেন স্থবির হয়ে গিয়েছে গত বেশ কয়েক সপ্তাহ। আর এজন্য দায়ী কংগ্রেসই। নেতারা ভোটের প্রচারে ব্যস্ত, এই অজুহাত দিতে দেখা গিয়েছে হাত শিবিরের নেতাদের। আসন সমঝোতা নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজনও বোধ করতে দেখা যায়নি তাঁদের। অনেকেরই মনে পড়বে সমাজবাদী পার্টি মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে চাইলে কমল নাথ বলেছিলেন, ”অখিলেশ-টখিলেশ কে?” এই তাচ্ছিল্য যে কতটা ভুল মানসিকতা, তা হয়তো রবিবার ভোটগণনার ফলাফল দেখে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: জঙ্গি নিধনের বদলা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্ফোরণ, ফিনিপিন্সে মৃত অন্তত ৩]
প্রথম থেকেই নিজেদের ইন্ডিয়া জোটের চালকের আসনে যেন দেখাতে চেয়েছে কংগ্রেস। এই ‘দাদাগিরি’ যে বিরোধী জোটের ঐক্যের পক্ষে ভালো নয়, সেকথা এমনকী মমতা-অভিষেককেও বোঝাতে দেখা গিয়েছে তাদের। কিন্তু সেকথায় কান না দিয়ে যে একধরনের ‘ঔদ্ধত্যে’ই কংগ্রেস দেখাতে চেয়েছিল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও পাল্লাভারী তাদেরই। কিন্তু রবিবার পরিষ্কার হয়ে গেল আসল ছবিটা কী। তিন রাজ্যে ভরাডুবি। মিজোরামে ত্রিশঙ্কু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। কেবল সান্ত্বনা পুরস্কার তেলেঙ্গানা! কার্যতই কংগ্রেসের ‘হাতে রইল পেনসিল’।
এহেন অবস্থায় ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) অবস্থানই আরও শক্তিশালী হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২০২১ সালে নির্বাচনে বাংলায় ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু শেষপর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাই পেয়েছিল ঘাসফুল শিবির। কংগ্রেসের এই পরাজয়ে ইন্ডিয়া জোটে তাই মমতার শক্তিই যেন আরও বেশি বৃদ্ধি পেল।