সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশ্নে সেই শীর্ষনেতৃত্ব। বিহারে হারের পর কংগ্রেসের (Congress) অন্দরের ফাটল আরও যেন চওড়া হচ্ছে। তথাকথিত বিদ্রোহী শিবিরের কোণঠাসা নেতারা আরও যেন খানিকটা অক্সিজেন পেয়েছেন বিহারের ফলে। গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠরা যথারীতি আস্থা রাখছেন রাহুল-সোনিয়ায়। আর দুই শিবিরের এই দ্বন্দ্ব এবার চলে আসছে একেবারে প্রকাশ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দলের ভাবমূর্তি আরও তলানিতে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঝুঁকি এড়াতে বাতিল হতে পারে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন!]
আসলে কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা যে দল চালাতে গাছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন, সেটা গতকালই চোখে আঙুল দেখিয়ে দিয়েছেন কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। প্রকাশ্যে গান্ধীদের খোঁচা দিয়ে বর্ষীয়ান এই নেতা বলেছেন,“বিহার ও সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে কংগ্রেসের খারাপ ফল নিয়ে দলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তাঁরা হয়তো ভাবছেন সব ঠিক আছে। এটাই (পরাজয়) দলের অভ্যেসে দাঁড়িয়েছে।” জনসমক্ষে সিব্বলের এই মন্তব্য যে দলের ভাবমূর্তিকে উজ্বল করেনি সেটা বলার জন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বেগতিক দেখে আজ দলের (পড়ুন গান্ধী পরিবারের) ভাবমূর্তি রক্ষার্থে আসরে নামেন সোনিয়ার (Sonia Gandhi) বিশ্বস্ত সৈনিক অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)।
সরাসরি সিব্বলকে তোপ দেগে গেহলট বলেন,”কপিল সিব্বলের ওভাবে জনসমক্ষে দলের অভ্যন্তরের ইস্যু নিয়ে কথা বলা উচিৎ হয়নি। এতে দলের কর্মীদের মনোবলে আঘাত লেগেছে। কংগ্রেস এর আগেও বহু সংকটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ১৯৬৯, ১৯৭৭, ১৯৮৯, ১৯৯৬…। কিন্তু প্রতিবারই আমরা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে এসেছি। আর সেটা সম্ভব হয়েছে আমাদের আদর্শ, নীতি, কর্মসূচি আর নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাস রেখেই। আজও কংগ্রেসই একমাত্র দল যারা গোটা দেশকে একত্রিত করে সার্বিক উন্নয়নের পক্ষে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।”
[আরও পড়ুন: সেনা আধিকারিক নন, তাহলে কেন ওই উর্দি পরেন? প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা যুব কংগ্রেসের]
রাজনৈতিক মহল বলছে, প্রকাশ্যে সিব্বলের এই বিস্ফোরণ হয়তো বুদ্ধিমান রাজনীতিকের পরিচয় নয়। কিন্তু যেভাবে দিনের পর দিন হারার পরও কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা নির্বিকার, তাতে প্রকাশ্যে এই ধরনের প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক।