বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: কালীপুজোর উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে কার্যত পুর ভোটের প্রচার শুরু করে দিল কংগ্রেস। সেই সঙ্গে প্রদেশ সভাপতির ভোট কৌশল খারিজ করে জোটের পক্ষেই সওয়াল করলেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya)। ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের কালী পুজোর (Kali Puja) উদ্বোধনে এসে তিনি জানান, পরপর দু’টি উপনির্বাচনের ফল ইঙ্গিত দিচ্ছে বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়াইয়ের পক্ষে।
একমাসের ব্যবধানে দু’টি উপনির্বাচন হয়েছে রাজ্যে। প্রথম উপনির্বাচনে সামশেরগঞ্জে প্রায় সত্তর হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয় কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী। আবার দ্বিতীয় উপনির্বাচনে শান্তিপুর শান্তি দেয় আলিমুদ্দিনকে। তৃতীয় হলেও প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পান সিপিএম (CPIM) প্রার্থী। দু’টি উপনির্বাচনের ফলাফল বিশ্লষণ করে উজ্জীবিত বাম ও কংগ্রেস শিবির। বিশেষ করে গেরুয়া শিবিরের জনসমর্থন নিম্নমুখী হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে আলিমুদ্দিন ও বিধান ভবন। যৌথভাবে রাস্তায় নামলেই রামের পকেটে চলে যাওয়া ভোট বাম ও কংগ্রেসে ফিরবে বলে আশাবাদী দু’পক্ষই। তাই পুরভোট নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই জোট বেধে লড়াইয়ের পক্ষে বিধানভবনের একাংশ।
[আরও পড়ুন: ‘দিদি ও দিদি’র থেকে বেশি ক্ষতি ‘বারমুডা’ মন্তব্যে! মোদি-দিলীপকে একযোগে আক্রমণ তথাগতর]
এদিন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আগেও একসঙ্গে লড়াই হয়েছে। আগামীদিনেও একসঙ্গে লাড়াই করা উচিৎ।” যদিও সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) মতে, ভবানীপুরের উপনির্বাচনে জোটের শর্ত অমান্য করে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। বাধ্য হয়েই সিপিএম প্রার্থী দেয়। আবার শান্তিপুরে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরে কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে আবেদন করা হয় প্রার্থী না দেওয়ার। অথচ কংগ্রেস প্রার্থী দেয়। এখন বিধান ভবনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁরা কী করবে।
[আরও পড়ুন: দীপাবলিতে ফাটানো যাবে বাজি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সায় কলকাতা হাই কোর্টের]
যদিও, বাম শিবির কংগ্রেসের এই জোট বার্তায় আদৌ সাড়া দেবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, শান্তিপুরে জোট না করেও ভোট বেড়েছে বামেদের। তারপরই বাম শিবিরের একাংশের ধারণা, হাতের সঙ্গে জোট না করলেও রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাম শিবির (Left Front)।