দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: একুশের নির্বাচনের বাদ্যি বেজে গিয়েছে বাংলায়। সকল পক্ষই নিজের ঘর গোছাতে ব্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ফুরফুরা শরিফে দরবার করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি ও আবদুল মান্নান। তবে সেই দরবার এড়িয়ে গেলেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। বদলে পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকির সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের। এই সাক্ষাৎকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
ফুরফুরায় পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করে আসন্ন বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস জোটের মাথার উপর হাত রাখার জন্য দরবার করেন তাঁরা। তাঁর সঙ্গে একান্ত আলোচনার পর সাংবাদিকদের অধীর বলেন, “বাংলার স্বার্থে বাম-কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ জোট লড়াই করছে। তাই বাংলাকে রক্ষা করার জন্য পীরজাদার কাছে দোয়া চাইলাম।” একান্ত আলোচনার পর পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকি জানান, “সমস্ত দল এক জোট হয়ে লড়াই করতে পারলে তবেই সাম্প্রদায়িক দলকে হঠানো যাবে।” বিজেপির নাম না করে তিনি আরও বলেন,”এই সাম্প্রদায়িক দলকে হঠাতে না পারলে সারা দেশের গরিব, দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বড় বিপদের সম্মুখীন হবে।” সূত্রের খবর, এদিন শরিফে ছিলেন না ত্বহা।
[আরও পড়ুন : বঙ্গ দখলে আরও জোর, চলতি মাসেই দ্বিতীয়বার রাজ্য সফরের সম্ভাবনা অমিত শাহর]
ফুরফুরা শরিফে যাওয়ার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরিকে ডানকুনিতে সংবর্ধনা দেন দলীয় কর্মীরা। সেখানে তিনি বলেন, “নির্বাচনে কংগ্রেস ও বামেদের হাত ধরে বাংলায় পরিবর্তন নিশ্চিত।” বিজেপি আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোটের লড়াইতে সঙ্গ দেওয়ার জন্য কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি। কংগ্রেস ও বাম জোটের জয় নিশ্চিত করার জন্য কর্মীদের মনপ্রাণ দিয়ে পরিশ্রম করার ডাক দেন।
বিহার নির্বাচনে মুসলিম ভোট ব্যাংকে থাবা বসিয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল। এবার বাংলা তাঁর লক্ষ্য বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন ওয়েইসি। ফলে মাথাব্যথা বেড়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেদের। তবে চিন্তাটা বেশি কংগ্রেসের বলেণ মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ বিভিন্ন সূত্রে খবর, কংগ্রেসের গড় মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রার্থী দিতে চলেছে ওয়েইসি। তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন বুঝতেই এদিন অধীর-মান্নান ফুরফুরায় হাজির হয়েছিলেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।