অর্ণব দাস, বারাকপুর: জামিন পাওয়ার পরদিনই ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচির। রাজ্যের শাসকদলকে উৎখাত করতে যা দরকার তাই করবেন বলেই সওয়াল তাঁর। উল্লেখ্য, এর আগে শনিবারই জামিন পাওয়ার পর ব্যাঙ্কশাল আদালতের সামনে মাথা মুড়িয়ে ফেলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার অঙ্গীকার নেন।
তিনি বলেন, “আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ শাসকদলকে এ রাজ্য থেকে উৎখাত করতে যা যা করার আগামী দিনেও তাই করব। মাথার চুল আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। সেটা কেটে ফেলেছি। আমি চাইব যত তাড়াতাড়ি আমার মাথার চুলটা আবার ফিরে আসুক। আগামী এক, দুই, তিন বছর নাকি আরও দশ বছর যতদিন না শাসকদলকে উৎখাত করতে পারছি এভাবেই থাকব।”
[আরও পড়ুন: ৫-১১ মার্চের Horoscope: কেমন কাটবে দোল? রাশিফল মিলিয়ে জেনে নিন কী রয়েছে আপনার ভাগ্যে]
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পর কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পালটা জবাব হিসাবে দীপক ঘোষের লেখা বইয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পালটা মমতাকে খোঁচা দেন কৌস্তভ বাগচি। আর তারপরই গ্রেপ্তার হন তিনি। মাত্র সাড়ে আটঘণ্টার মধ্যে জামিনে মুক্তিও পান। পুলিশি পদক্ষেপের পরেও সেই বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে আরও একবার তৃণমূলকে খোঁচা দেন।
বলেন, “যে বইটা নিয়ে শাসকদলের এত মাথাব্যথা আমার প্রচেষ্টা এটাই থাকবে সদর গ্রাম পঞ্চায়েত বুড়ো থেকে ছুঁড়ো সবার হাতে যেন পৌঁছে যায়। বইটা তো ব্যান করেনি। সুতরাং মানুষের পড়াশোনা করতে আপত্তি কোথায়। মানুষের যে কোনও বই পড়া উচিত। মানুষ যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে, যেভাবে সমর্থন করেছে। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি এমনকি তৃণমূলের লোকরাও আমায় ফোন করেছে। তৃণমূল নেতারা সরাসরি ফোন করতে ভয় পাচ্ছে। তারা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমাকে ফোন করেছে।” জামিনে মুক্তির পর থেকে কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে জনজোয়ার। কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। সবুজ আবির মাখিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছাও জানান অনেকেই।