স্টাফ রিপোর্টার: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবন কুমার বনসলকে ( Pawan Kumar Bansal ) সংগঠনে অন্তর্বর্তীকালীন কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করল কংগ্রেস। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহেই প্রয়াত হন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল (Ahmed Patel)। গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ এই নেতাই সামলাচ্ছিলেন দলের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব। তাঁর জায়গাতেই এদিন দলের অন্যতম মুখপাত্র বর্ষীয়ান নেতা পবনকে আনা হল।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) ধন্যবাদ জানান পবন। বলেন, “আমায় এই অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সোনিয়াজি (Sonia Gandhi) ও রাহুলজিকে ধন্যবাদ। নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব।” বর্ষীয়ান এই নেতা বেশ কিছুদিন ধরেই গান্ধীদের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে আছেন। ইউপিএ (UPA) আমলে একাধিক মন্ত্রক সামলেছেন তিনি। এমনকী বেশ কিছুদিন রেলমন্ত্রীও ছিলেন। পরে ভাইপো বিবেক বনসলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। কোষাধ্যক্ষ পদে বনসলের এই আগমন দলে গান্ধীদের দখল আরও মজবুত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও বর্ষীয়ান এই নেতাকে নিয়োগ করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে। ফলে এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের সভানেত্রী, কোষাধ্যক্ষ দু’জনেই অস্থায়ী।
[আরও পড়ুন: আদানির কয়লা প্রকল্পে ঋণ দিলে ছিন্ন হবে সম্পর্ক! SBI-কে হুঁশিয়ারি বিনিয়োগকারী সংস্থার]
আসলে আহমেদ প্যাটেলের প্রয়াণের পর থেকেই তাঁর পরিবর্ত নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনা চলছিল। কারণ, আহমেদ প্যাটেল কোষাধ্যক্ষ হওয়ার পাশাপাশি দলে অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন। বলা ভাল, সোনিয়া গান্ধীর ডানহাত ছিলেন। নিজের রাজনৈতিক সচিবকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতেন সোনিয়া। আহমেদই অন্যান্য দলের সঙ্গে কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রীর যোগাযোগ রক্ষা করতেন। জল্পনা ছিল, তাঁর বদলে এমন কাউকে আনা হবে যিনি গান্ধীদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি দলের সব স্তরের নেতার মধ্যে সামঞ্জস্য সাধন করে চলতে পারবেন। যদিও, আহমেদ প্যাটেলের মতো সাংবিধানিক দক্ষতা বনসলের আছে কিনা, তা নিয়ে এখনও সংশয় আছে কংগ্রেসের অন্দরে।