স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: কংগ্রেসে কি এবার ‘সব কা সাথ’? ১০ মার্চ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই জেগে উঠেছে কংগ্রেসের (Congress) অন্দরের আগ্নেয়গিরি। পরপর লাভাস্রোত উগরে দিয়েছেন কপিল সিব্বল-সহ অন্যান্য ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতারা। তারপর থেকেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের কাজ করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ডকে। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা অন্যতম ‘জি-২৩’ সদস্য ভূপিন্দর সিং হুডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাহুল গান্ধী। সোনিয়া (Sonia Gandhi) দেখা করেছিলেন গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে। এবার কংগ্রেস দলনেত্রী দেখা করলেন রাজ্যসভার বিরোধী উপদলনেতা আনন্দ শর্মা, লোকসভার সাংসদ মণীশ তিওয়ারি এবং বিবেক তানখার সঙ্গে।
গত সপ্তাহে সোনিয়া-আজাদ সাক্ষাতের পর থেকেই ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা’ সুরের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল কংগ্রেসের অন্দরমহল থেকে। মঙ্গলবারের বৈঠকের পর যা আরও দৃঢ় হল। দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের ভিতর থেকে যে গুঞ্জন আসছে, তাতে জানা যাচ্ছে, বিদ্রোহীদের দাবি মানতে চলেছেন গান্ধীরা। গত সপ্তাহে বৈঠকের পর বিক্ষুব্ধরা বিবৃতি প্রকাশ করে শীর্ষনেতৃত্বকে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বার্তা দেন।
[আরও পড়ুন: এবার ইউক্রেন নিয়ে মোদিকে ফোন জনসনের, ভারতের সমর্থন পেতে মরিয়া ইউরোপ]
সেই দাবি মেনে বিক্ষুব্ধ নেতাদের আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে চলেছে কংগ্রেস, এমনটাই খবর। শোনা যাচ্ছে এক বছরের কিছু বেশি সময়ের ব্যবধানে আবার রাজ্যসভায় নিয়ে আসা হতে পারে আজাদকে। হুডাকে দেওয়া হতে পারে হরিয়ানার দায়িত্ব। মণীশ তিওয়ারি, সন্দীপ দীক্ষিতদেরও দেওয়া হতে পারে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
এদিকে কংগ্রেসের অন্য একটি মহলের দাবি, যেহেতু সামনেই সাংগঠনিক নির্বাচন, তাই তার আগে বড় কোনও রদবদল নাও হতে পারে। তবে দলের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বিক্ষুব্ধদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হবে আনন্দ শর্মা, মণীশ তিওয়ারিদের সেই বার্তা দিয়েছেন সোনিয়া।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের ভোটে শোচনীয় ফলাফল করেছে কংগ্রেস। সেই ২০১৪ সাল থেকে যেভাবে একের পর এক নির্বাচনে কংগ্রেস যেভাবে ধরাশায়ী হয়েছে, সেই ধারা বজায় থেকেছে ২০২২ সালের পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনেও। যে পাঁচ রাজ্যে ভোট হয়েছিল তার মধ্যে কংগ্রেস একটিতে ক্ষমতায় ছিল, ২টিতে ২০১৭ সালে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছিল এবং একটিতে দলের অন্যতম সেরা মুখ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) আঁকড়ে ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে যে রাজ্যটিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, সেই পাঞ্জাবেও কার্যত নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে হাত শিবির। ইতিহাসে প্রথমবার কংগ্রেসের ভোট নেমে আসছে ২৫ শতাংশের নিচে।