কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: কোভিডের দ্বিতীয় ডেউ সামাল দিতে কার্যত নাজেহাল কেন্দ্র-রাজ্য দুপক্ষই। একদিকে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ তো অন্যদিকে ঘনীভূত হচ্ছে অক্সিজেন ‘সংকট’। শ্বাসবায়ুর অভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসছে। পরিস্থিতি মোকবিলায় দেশজুড়ে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা চলছে। এই কর্মযজ্ঞে এবার এগিয়ে এলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।
শুক্রবারই জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদীকে চিঠি দেন অধীর। সেই চিঠিতে নিজের লোকসভা ক্ষেত্রে একটি অক্লিজেন প্লান্ট স্থাপনের কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি গোটা জেলার জন্য অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর যুক্ত ২টি অ্যাম্বুল্যান্স কেনারও প্রস্তাব দেন তিনি। আর এই কাজ হবে তাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থে। জেলাশাসককে সেই তহবিলের টাকা খরচের কথা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর অনুরোধ, দ্রুত এইগোটা প্রক্রিয়া শেষ করুন জেলাশাসক। তাঁর এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসী।
[আরও পড়ুন : একদিনেই মৃত্যু ৯৬ জনের, আরও ভয়াবহ বাংলার কোভিড গ্রাফ]
রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যের ১৭,৪১১ জন। তাঁদের মধ্যে ৩,৯৩২ জনই উত্তর ২৪ পরগনার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ফের প্রথম স্থানে ওই জেলা। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। সেখানেও তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এদিন। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৯২৪ জন। তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। একদিনে নতুন করে করোনা থাবা বসিয়েছে সেখানকার ৯৭৩ জনের শরীরে। হাওড়া রয়েছে চতুর্থ স্থানে। একদিনে আক্রান্ত সেখানে ৯২২ জন। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের করোনা গ্রাফও রীতিমতো ভয় ধরিয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। সব জেলা থেকেই মিলেছে নতুন সংক্রমিতের হদিশ। ফলে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮,২৮, ৩৬৬। বাড়ছে মৃত্যুও। অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হচ্ছে কোভিড আক্রান্তদের। বাড়িতে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তদের জন্যও অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না অনেক ক্ষেত্রে। এমন পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমজনতাই। নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতি কংগ্রেস সাংসদের এই চিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।