সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল দলের সংগঠনে তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। পদাধিকারীদের ৫০ শতাংশের বয়স হবে পঞ্চাশের নিচে। সেটা ২০২২ সাল। তার পর দুবছর পেরিয়ে গেলেও সংগঠনে রদবদল করা সম্ভব হয়নি। বস্তুত মল্লিকার্জুন খাড়গে সভাপতি হওয়ার পরও দেশজুড়ে ব্যাপক হারে সাংগঠনিক রদবদল হয়নি। অবশেষে সেই রদবদল প্রক্রিয়া শুরু করল কংগ্রেস।
একধাক্কায় দেশের ২৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক বদলে ফেলল হাত শিবির। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটকের মতো বড় রাজ্যের পর্যবেক্ষক বদলানো হল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই রাজ্যগুলিতে যাঁদের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হল তাঁদের অধিকাংশই নতুন মুখ। অনেকেই পথেঘাটে নেমে সংগঠনের কাজ করা লোক।
[আরও পড়ুন: পাক নীতিতে বড় বদল ভারতের! ‘আলোচনা নয়, এবার অ্যাকশন’, বার্তা জয়শংকরের]
যে সব রাজ্যের পর্যবেক্ষক বদলানো হল সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাও। গুলাম আহমেদ মীর এতদিন ছিলেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তিনি এবার কাশ্মীরের নির্বাচনে লড়ছেন। তাঁর পরিবর্তে এআইসিসি সম্পাদক পদে আসছেন অম্বা প্রসাদ। ঝাড়খণ্ডের ওই বিধায়কের বয়স মাত্র ৩৬ বছর। তাঁর সঙ্গে পর্যবেক্ষক হিসাবে থাকছেন আসাফ আলি খান। তিনি ওড়িশার প্রাক্তন বিধায়ক। বাংলার নেতা শুভঙ্কর সরকারকেও দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনে যুক্ত থাকার পুরস্কার দিল হাত শিবির। অরুণাচল প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে নিয়োগ করা হল তাঁকে। শুভঙ্কর সরকারের নাম শোনা যাচ্ছিল প্রদেশ কংগ্রেসের সম্ভাব্য সভাপতি হিসাবেও। তবে সেই সম্ভাবনায় আপাতত ইতি পড়ে গেল এই ঘোষণায়।
[আরও পড়ুন: জুম্মার নামাজে ২ ঘণ্টার বিরতি বাতিল, বিতর্ক জিইয়ে বড় সিদ্ধান্ত অসম বিধানসভায়]
এর পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় স্তরের সংগঠনেও রদবদল করেছে হাত শিবির। সংগঠনের সম্পাদক পদে আনা হয়েছে নেতা ডি'সুজা, নবীন শর্মা এবং নীরজ কুন্দনকে। এরা প্রত্যেকেই দলের কোনও না কোনও শাখা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কোষাধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করবেন নীতীন কুম্বলকর এবং রুচিরা চতুর্বেদী। কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গের দপ্তরের দায়িত্বে আসছেন প্রণব ঝাঁ এবং গৌরব পান্ধী। ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক নিযুক্ত হলেন আরতি কৃষ্ণা।