সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, বেআইনিভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোর পর এবার আরও বিস্ফোরক অভিযোগ কংগ্রেসের (Congress)। হাত শিবিরের দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত এড়াতে বিজেপিকে মোটা অনুদান দিয়েছে অন্তত ৩০টি কর্পোরেট সংস্থা। বস্তুত কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে ‘হপ্তা উসুল’ অর্থাৎ ‘তোলাবাজি’ করছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এই অভিযোগের তদন্ত করতে হবে, দাবি কংগ্রেসের।
সম্প্রতি দুটি অনলাইন পোর্টাল ‘নিউজলন্ড্রি’ এবং ‘দ্য নিউজ মিনিট’ দাবি করেছে, আয়কর দপ্তর, ইডি, সিবিআইয়ের (CBI) মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে পড়তেই কয়েকটি বড় কর্পোরেট সংস্থা বিজেপিকে মোটা টাকা অনুদান দিয়েছে। ওই দুই সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের মধ্যে ৩০টি কর্পোরেট সংস্থা বিজেপিকে ৩৩৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। এদের মধ্যে ২৩টি কর্পোরেট গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশি অভিযানের আগে কোনও দিন বিজেপির দলীয় তহবিলে চাঁদা দেয়নি!
[আরও পড়ুন: ‘এমন সত্যি যা শিহরিত করে’, সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশ বিজেপির]
ওই সংবাদমাধ্যমের অভিযোগকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন, গত ৪ বছরে ৩০টি বড় বেসরকারি কোম্পানির বিরুদ্ধে ইডি (ED), সিবিআই এবং আয়কর বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। তার পরেই তাদের থেকে ৩৩৫ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে বিজেপি। এখন ব্ল্যাকমেলিংয়ের রাজনীতিও শুরু করেছে বিজেপি। যা আসলে হপ্তা উসুল বা তোলা তোলার রাজনীতি।” রমেশের দাবি, “৩০-এর মধ্যে ২৩ কোম্পানি ২০১৮-র আগে বিজেপিকে কোনও চাঁদা দেয়নি। যেই নানা এজেন্সি ব্যবহার করে ওদের উপর তদন্ত শুরু হল, ১৮৮ কোটি চাঁদা পেয়ে গেল বিজেপি। এটা হপ্তা উসুলি নয় তো কী? রমেশ বলছেন, সুপ্রিম (Supreme Court) নির্দেশে ইলেক্টোরাল বন্ড বন্ধ। তাই ইডি বন্ডে টাকা তুলছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখায় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি চিনা জওয়ানদের! ভাইরাল ভিডিও]
এর আগে বিজেপির বিরুদ্ধে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোর অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। দলের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন দাবি করেন, আয়কর বিভাগের নির্দেশে বেআইনিভাবে কংগ্রেসের একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৫ টাকা সরিয়েছে কেন্দ্র। প্রকারান্তরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনেন কংগ্রেস নেতা।