সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১২ জুন পাটনায় (Patna) বিরোধীদের প্রথম সম্মিলিত বৈঠক হতে চলেছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) ডাকে। বৈঠকে আপ-সহ ২১টি বিরোধী দলের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসও। কিন্তু সম্প্রতি সংশয় দেখা দিয়েছিল কংগ্রেস হয়তো ওই বৈঠকে যাবে না। আসলে বায়রন বিশ্বাসের দলবদলের পরে কংগ্রেস বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশের টুইটের পরই প্রশ্ন ওঠে, এই দলবদল কি ফের কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে দূরত্ব বাড়াবে। এহেন পরিস্থিতিতে হাত শিবির জানিয়ে দিল, তারা পাটনার বৈঠকে থাকছেই।
নীতীশ-তেজস্বীকে আগেই এই বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুরোধ মেনেই জুনের তৃতীয় সপ্তাহে বৈঠক ডেকেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। জেডিইউ, এনসিপি, আরজেডি, ডিএমকে-সহ অধিকাংশ বিরোধী দলই থাকছে বৈঠকে। আগামী নির্বাচনে বিরোধী ঐক্য কোন পথে, তারই হদিশ মিলবে ওইদিন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অপারেশন টেবিলে ৯ মহিলা, মদ্যপ অবস্থায় মেঝেয় লুটিয়ে পড়লেন ডাক্তার! তারপর…]
কিন্তু বৈঠকে কংগ্রেসের যোগদান নিয়েই তৈরি হয়েছিল সংশয়। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে ৩ মাসের মধ্যে শিবির বদলে ফেলেছেন সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। এরপরই জয়রাম রমেশ টুইটারে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের টিকিটে ঐতিহাসিক জয়ের মাত্র ৩ মাসের মাথায় বায়রন বিশ্বাসকে লোভ দেখিয়ে ভাঙাল তৃণমূল। এটা সাগরদিঘির ভোটারদের সঙ্গে পুরোপুরি বিশ্বাসঘাতকতা। এর আগে একই ধরনের চোরাশিকারের ঘটনা ঘটেছে মেঘালয়, ত্রিপুরা, গোয়ার মতো একাধিক রাজ্যে। এধরনের পদক্ষেপ বিরোধী ঐক্যকে মজবুত করে না। বরং বিজেপির উদ্দেশ্যই পূরণ করে।’
এই টুইটের পরই জল্পনা শুরু হয়, এই পরিস্থিতিতে কি তৃণমূলের (TMC) উপস্থিতিতে হওয়া বিরোধী বৈঠকে কি আদৌ শামিল হবে কংগ্রেস? কিন্তু বৃহস্পতিবার জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, ”আমরা ১২ জুনের বৈঠকে থাকব। রাহুল গান্ধী নেই। দলের সভাপতি খাড়গেরও বহু কর্মসূচি রয়েছে। তাঁরা যেতে না পারলে অন্য কেউ যাবেন।” প্রসঙ্গত, রাহুল ১০ দিনের সফরে আমেরিকায় গিয়েছেন। এমতাবস্থায় তাঁদের বদলি কোন নেতা বৈঠকে থাকবেন, তা এখনও জানা যায়নি।