সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেবারে শেষের দিকে বসে রয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা! স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বসার ব্যবস্থা নিয়ে এবার কেন্দ্রকে তোপ দাগল কংগ্রেস। হাত শিবিরের মত, লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে যথাযোগ্য সম্মান দিচ্ছে না মোদি সরকার। সেই জন্যই কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের মন্তব্য, ৪ জুন লোকসভার ফল বেরনোর পর সময়টা পালটে গিয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও সেটা মেনে নেওয়া উচিত।
১০ বছর পরে দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা। তবে প্রথাগত আসন দেওয়া হয়নি তাঁকে। বরং রাহুলের ঠাঁই হয় দর্শকাসনের পিছনদিকে। শেষ থেকে দ্বিতীয় রোতে বসেছিলেন রাহুল। তাঁর আশেপাশে বসেছিলেন প্যারিস অলিম্পিকে পদকজয়ী অ্যাথলিটরা। উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতার পদটি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা দিবসের প্রথা অনুযায়ী, বিরোধী দলনেতালকে একেবারে সামনের সারিতে বসার আসন দেওয়া হয়। কিন্তু রাহুলের ক্ষেত্রে এই প্রথা মানা হয়নি।
[আরও পড়ুন: আজ ৩ রাজ্যের নির্বাচন ঘোষণা! কাশ্মীরেও বাজতে পারে ভোটের দামামা]
তার পর থেকে নেটদুনিয়ায় চর্চা চলছে, কেন সামনের সারিতে বসতে দেওয়া হল না রাহুলকে? সাধারণত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথির বসার জায়গা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কিন্তু ১০ বছরে প্রথমবার যখন লোকসভা একজন বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন, তাহলে কেন তাঁকে যথাযথ স্থানে বসতে দেওয়া হল না? কেন্দ্রের সাফাই, আসলে অলিম্পিকে পদকজয়ীদের সামনের সারিতে বসতে দেওয়া হয়েছিল। সেই জন্যই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে রাহুলের আসন।
এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, "মোদিজি, এবার ঘুম থেকে উঠুন। ৪ জুনের পর থেকে সময় বদলে গিয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়ার যে ঔদ্ধত্য আপনি দেখিয়েছেন, তাতেই বোঝা যাচ্ছে আপনার এখনও শিক্ষা হয়নি।" কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রশ্ন, কেন এভাবে নিম্নরুচির আচরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার?