বাবুল হক, মালদহ: প্রার্থী বদলের দাবিতে এবার মালদহের কোতোয়ালি ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভে নামলেন কংগ্রেসের (Congress) কর্মী, সমর্থকরা। সোমবার সকাল থেকে নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে ঘেরা গনি খান চৌধুরীর বিরাট বাসভবনের সামনে জমায়েত হন তাঁরা। রাস্তার মাঝে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। মালদহের রতুয়া (Rotua) কেন্দ্র থেকে এবারের নির্বাচন লড়াই সংযুক্ত মোর্চার হয়ে নামছেন কংগ্রেসের নাজিমা খাতুন। কিন্তু তাঁকে স্থানীয় কর্মী, সমর্থকরা কেউ চেনেন না বলে দাবি তুলে তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ। সেই দাবিতেই আজ বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা।
বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আইএসএফ – এই তিন রাজনৈতিক দল একুশে বঙ্গের ভোটে জোট বেঁধেছে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে। তিন দলের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে দীর্ঘ জটিলতার পর শেষমেশ জোট সমীকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। ২৯৪ আসনের মধ্যে অধিকাংশেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তিন দলই। এর মধ্যে কংগ্রেসের গড় মালদহের (Maldah)বেশিরভাগ আসনে দলীয় প্রার্থীদেরই ভোটযুদ্ধে নামাচ্ছে জোটের মেজো শরিক। রতুয়া কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার সৈনিক নাজিমা খাতুন। কিন্তু এই নেত্রীকে বিধানসভা ভোটের প্রার্থী হিসেবে নাপসন্দ কংগ্রেস কর্মীদেরই একটা বড় অংশের। তাই তা নিয়ে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
[আরও পড়ুন: প্রার্থীপদ দাবি করেও মেলেনি, বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে ক্ষুব্ধ মতুয়ারা]
মালদহের কোতোয়ালি ভবন মানেই কংগ্রেসের প্রধান গড়। গনি খান চৌধুরী পরিবারের প্রত্যেকে এখনও জাতীয় দলটির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। যদিও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আবহে এই পরিবারের দলবদলের ছোঁয়া লেগেছে। মালদহ উত্তরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর এখন তৃণমূলে। তা সত্ত্বে কোতোয়ালি ভবনের কংগ্রেসি পরিচয় এখনও জ্বলজ্বল করছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কর্মী, সমর্থকরাও মনে করেন, এই বাড়িতে দাবিদাওয়া জানালেই তা মিটবে। তাই এদিন তাঁদের বিক্ষোভের কেন্দ্রে ছিল কোতোয়ালি ভবন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, চেনাজানা কোনও নেতা বা নেত্রীকেই প্রার্থী চাই। চেনেন না, এমন কাউকে রতুয়া কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে তাঁরা মানবেন না। তবে কি দলীয় কর্মীদের দাবি মেনে আদৌ প্রার্থী বদল হবে? এই উত্তর খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।