বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: আসনরফা নিয়ে সিপিএম ছাড়া বামফ্রন্টের অন্য দলের সঙ্গে এখনই আলোচনায় বসতে নারাজ কংগ্রেস (Congress)। তাই রবিবার জোটের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। পরিবর্তে সিপিএমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবে বিধানভবন। আবার রবিবার শহরে আসছে পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ-সহ কংগ্রেসের চার সদস্যের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
আসনরফা করতে বসে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের (CPIM) নয়, ফ্রন্টের অন্য শরিকদের সঙ্গে জটিলতা চরমে পৌঁছেছে। মূলত আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে কংগ্রেসের। এই পরিস্থিতিতে এখনই বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনায় যেতে চাইছে না কংগ্রেস। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়েই জটিলতা কাটাতে তৎপর দুই শিবির। তাই আগে ঘোষণা হলেও রবিবার জোটের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। পরিবর্তে এদিন সিপিএমের সঙ্গে বৈঠকে বসবে প্রদেশ কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন : জল্পনাতেই সিলমোহর, ভোটের আগে কলকাতার নয়া পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র]
তারপর ফ্রন্টের অন্য দুই শরিক আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লক কংগ্রেসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে যে জটিলতা রয়েছে তা কাটানোর চেষ্টা হবে। তারপরই জোটের বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। এরমধ্যে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গেও জোট নিয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। গোটা বিষয়টি আগামী কুড়ি তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করতে তৎপর দুই শিবির।
আবার জোট পরিস্থিতির পাশাপাশি সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে রাহুল গান্ধীর নির্দেশে শহরে আসছেন কংগ্রেসের চার নেতা। প্রদেশের নির্বাচন কমিটি, প্রচার কমিটি, ইস্তেহার কমিটির সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠক করবেন তাঁরা। ফিরে গিয়ে পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ হাইকমান্ডের কাছে রিপোর্ট দেবেন বলে বিধানভবন সূত্রে খবর। আব্বাসের সঙ্গে জোট চেয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন আবদুল মান্নান। জিতিন প্রসাদরা সোনিয়ার সবুজ সংকেত নিয়ে আসবেন বলে আশায় বুক বাঁধছে বিধানভবনের ভোট ম্যানেজাররা।