সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদনি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুর শেষ দেখতে চাইছে কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্ট, রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সেবি। আদানিদের (Adani Group) বৃদ্ধি এবং হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের সত্যতা প্রকাশ্যে আনার দাবিতে সম্ভাব্য সবরকম ফোরামের দ্বারস্থ হচ্ছে হাত শিবির। পুরো ঘটনায় আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেত্রী। এবার খোদ দলের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) রিজার্ভ ব্যাংক এবং সেবিকে পুরো বিষয়টিতে তদন্তের দাবিতে চিঠি দিলেন।
মোদি (Narendra Modi) জমানায় আদানিদের উত্থানে ব্যাপক বেনিয়ম হয়েছে। এবং তাতে LIC ও SBI-এর ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এই দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী জয়া ঠাকুর। সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি গ্রহণ করেছে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি হবে। কিন্তু ওই কংগ্রেস (Congress) নেত্রী পালটা আরজি জানান, এই মামলাটির দ্রুত শুনানি প্রয়োজন। সেই আরজি মেনে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি জরুরি ভিত্তিতে মামলাটির শুনানির অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানো ও হেনস্তার চেষ্টা চলছে, BBC দপ্তরে আয়কর ‘হানা’ নিয়ে উদ্বিগ্ন এডিটর্স গিল্ড]
উল্লেখ্য, আদানি সংক্রান্ত আরেকটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে আগে থেকেই চলছে। ওই মামলাটি আবার করেছিলেন আইনজীবী এমএল শর্মা (ML Sharma) এবং বিশাল তিওয়ারি। এরা বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। তাঁদের লক্ষ্য ছিল, পুরো ঘটনায় হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু সেই মামলাতে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র এবং সেবিকে একাধিক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছে। শীর্ষ আদালত জানতে চায়, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর কেন শেয়ার বাজারে ধস নামল? ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য কী ধরনের কঠোর নিয়মাবলি লাগু করা যেতে পারে? পুরো বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে একটি কমিটি গঠনেরও পরামর্শ দেওয়া হয়। কেন্দ্র সেই পরামর্শ মেনে কমিটি গঠনে রাজিও হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন এই মামলা আরও চাপ বাড়াবে কেন্দ্রের উপর।
[আরও পড়ুন: দেশের শিল্পপতিরা বিজেপির পাশেই! অনুদানের অঙ্কে বাকিদের থেকে বহু এগিয়ে গেরুয়া শিবির]
আসলে মোদি সরকারের চাপ বাড়ানোর বহুমুখী কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস। আদালতে মামলার যেমন চলছে চলুক। তার সমান্তরালে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির উপরও চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস। বুধবার সকালেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ একযোগে রিজার্ভ ব্যাংক এবং সেবিকে চিঠি লিখে পুরো ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন। রমেশ রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank) কাছে জানতে চেয়েছেন, যদি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আদানিদের উপর থেকে আস্থা হারায়, তাহলে কি ভারতীয় ব্যাংকগুলিকে বলা হবে সংস্থাকে সাহায্য করতে? এদিকে সংসদেও বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগে আদানি ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে অনড় থাকবে হাত শিবির। এমনটাই খবর কংগ্রেস সূত্রে।