সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওসামা বিন লাদেন (Osama Bin Laden) ও করোনা ভ্যাকসিন (COVID vaccine)! অনেক ভেবেও এদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে পারা কঠিন। হয়তো অসম্ভবও মনে হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি পাকিস্তানে (Pakistan) আসেন, তাহলে আর ব্যাপারটা অতটা আজগুবি ও পারস্পরিক সম্পর্কহীন ঠেকবে না। ইতিমধ্যেই টিকাকরণ শুরু করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। চিন থেকে এসেছে ৫ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ। কিন্তু শুরু হতে না হতেই ধাক্কা খেয়েছে এই কর্মসূচি। কারণ? ওসামা বিন লাদেন।
ঠিক কী সম্পর্ক ৯/১১-র মূলচক্রী ও করোনার টিকার? আসলে ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে গভীর রাতে লাদেন-বধ করেছিল মার্কিন সেনা। সেই ‘অপারেশন নেপচুন স্পিয়ার’-এর আগে পাকিস্তানে পোলিও টিকাকরণের এক ভুয়ো কর্মসূচি চালানো হয়েছিল। ওই কর্মসূচির মাধ্যমে আত্মগোপনকারী লাদেন সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। দশ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই ঘটনা এখনও ঢেউ তুলছে পাক নাগরিকদের মনে। ‘ব্লুমবার্গ কুইন্টে’র দাবি, অনেকেই ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না করোনার টিকাকরণকেও। ফলে বেঁকে বসছেন তাঁরা। শিশুদেরও টিকা নিতে দিতে চাইছেন না। আসলে সেই সময় থেকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে এক ধরনের অবিশ্বাস তৈরি হয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদে। যা কাজ করছে এক্ষেত্রেও।
[আরও পড়ুন : ফের ‘শুদ্ধিকরণ’ পোপের, ভেটিক্যানের চার্চ পরিচালন সমিতির উচ্চপদে মহিলা]
তবে এখানেই শেষ নয়। আরও আছে। ‘ব্লুমবার্গ কুইন্টে’র ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, শিশুদের পোলিও টিকা নিতে না দেওয়ার পক্ষে যে ভীতি কাজ করে অনেক সময়, এখানে সেটাও কাজ করছে। এর মধ্যে ‘মুসলিম বিরোধী’ চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই। অবিশ্বাসের জোড়া ফলায় তাই আক্রান্ত পাকিস্তানের টিকাকরণ কর্মসূচি।
এমনিতেও টিকা দেওয়া শুরুর আগে থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে সিনোফার্মের তৈরি ভ্যাকসিন। চিনের (China) স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে সম্পূর্ণ সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি এই সংস্থার ভ্যাকসিনকে। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার আগেই কী করে তা ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সব মিলিয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ইমরান প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পোলিও টিকাকরণের মতোই কঠিন হয়ে উঠছে পাকিস্তানে করোনার টিকাকরণ।