সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর হামলার ঘটনা কি পুরোটাই সাজানো? অল্পের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী প্রাণে বেঁচে যাওয়ার পর থেকেই আমেরিকায় শুরু হয়েছে এই জল্পনা। নির্বাচনের মাত্র কয়েকমাস আগে ট্রাম্পের উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভোটে ফায়দা তোলার জন্যই এরকম হামলার ছক কষা হয়েছে?
শনিবার পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচার ছিল রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের (Donald Trump)। সেখানেই তাঁর উপর হামলা চলে। কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় আততায়ীর গুলি। প্রাণে রক্ষা পান প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বন্দুকবাজের গুলিতে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও দুজন। পরে অবশ্য সিক্রেট সার্ভিসের পালটা আক্রমণে নিকেশ হয় বন্দুকবাজ। কীভাবে মুহূর্তের জন্য বেঁচে গিয়েছেন ট্রাম্প, সেটা নিয়ে বিস্তারিত ভিডিও ঘুরছে সোশাল মিডিয়ায়।
[আরও পড়ুন: ৬ মাসে হত অন্তত ৪০০! মার্কিনমুলুকে আতঙ্কের অপর নাম বন্দুকবাজ]
তার পর থেকেই নেটদুনিয়ায় চর্চা, তাহলে কি এই ঘটনা আদতে সাজানো? জনতার চোখে সহানুভূতি পেয়ে ফের প্রেসিডেন্টের কুরসিতে বসতে চেয়েছেন ট্রাম্প? নেটদুনিয়ার একাংশের মতে, "গোটা ঘটনা যে সাজানো এতে কোনও সংশয় নেই। কারণ ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চলার পরেও সভায় উপস্থিত জনতার মধ্যে উদ্বেগের কোনও চিহ্ন নেই। এমনকি গুলির শব্দও শোনা যায়নি ঘটনাস্থলে।" এমনকি অনেকের মতে, ট্রাম্পকে কোনওমতেই বিশ্বাস করা যায় না।
এই জল্পনার আগুনে ঘি ঢেলেছে আহত ট্রাম্পের ছবি। গুলি চলার পরে রক্তাক্ত অবস্থায়ও মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে পালটা লড়াইয়ের ডাক দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। ঠিক সেই সময়েই তাঁর পিছনে দেখা যাচ্ছিল আমেরিকার পতাকা। সেই ছবি ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। অনেকের মতে, ক্যামেরার জন্যই নির্দিষ্ট সময়ে ট্রাম্পের পিছনে মার্কিন পতাকা তুলে ধরা হয়েছিল যেন সুন্দর ছবি তোলা যায়। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে এফবিআই। তার মধ্যেই এমন হাজারো 'কন্সপিরেসি থিওরি' ঘোরাফেরা করছে মার্কিন মুলুকে।