কৃষ্ণকুমার দাস: করোনা (Covid-19) আবহেই ফের স্বস্তির খবর কলকাতায় (Kolkata)। রবিবার মহানগরের কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমে একেবারে একে নেমে এল। স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১১ মে যেখানে শহরের কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ৩৩৮, সেখানে এদিন তা মাত্র একটিতে নেমে এসেছে। এর ফলে কোভিডের আতঙ্কের মেঘ অনেকটাই কাটল বলে মনে করছেন পুরসভার কর্তারা।
[আরও পড়ুন: যুব মোর্চার রাজ্য কমিটিতে পরিবর্তন চাইছেন না দিলীপ ঘোষ! তুঙ্গে জল্পনা]
বর্তমানে উত্তর কলকাতার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের লোহাপট্টির কাছে ১৩ ও ২১ নম্বর উমেশ দত্ত লেনের দু’টি বাড়ি মিলিয়ে শহরে এই মুহূর্তে করোনার একমাত্র কনটেনমেন্ট জোনটি রয়েছে। যদিও রবিবার স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৪১ জন, আর মারা গিয়েছেন ৮ জন। আর কলকাতায় এদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০২ জন। প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে করোনার টেস্টিং, শনাক্তকরণ এবং পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়ার কারণেই শহরে সংক্রমণ কমছে বলে মনে করেন পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
[আরও পড়ুন: বাড়ি লিখে দিতে রাজি না হওয়ার জের, বধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক ‘মার’ প্রোমোটারের সঙ্গীদের]
কলকাতা ছাড়াও জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলাতেও মাত্র একটি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। তবে নদীয়া (Nadia) জেলায় এক ধাক্কায় করোনার কনটেনমেন্ট জোন বেড়ে ৪৮৯টি হয়েছে। প্রায় চারমাস গ্রিন জোন থাকা পুরুলিয়ায় (Purulia) এখন কনটেনমেন্ট জোন বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪১টি হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের তথ্য, একটি রিসর্টে বড় বিয়ে বাড়ি থেকে সংক্রমণ শুরুর কারণেই পুরুলিয়ার হাল এতটা খারাপ হল। তবে এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর ৩৫১টি, পূর্ব বর্ধমানে ৩২৭টি, কোচবিহারে ৩২৩টি, উত্তর দিনাজপুরে ২৫২টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। কলকাতার লাগোয়া জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় এদিন নতুন করে ৫৯০ জন করোনা আক্রান্ত হলেও তাদের কনটেনমেন্ট জোন মাত্র ৩১টি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫৪টি। হাওড়া জেলার কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৭৪টি হলেও এদিন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১৯ জন। রাঙামাটির জেলা বীরভূমে এদিন ৩১জন করোনায় নতুন সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া গেলেও সেখানে কনটেনমেন্ট জোন বেড়ে হয়েছে ১২৭টি।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ, ঘনিষ্ঠতা, যুবকের সঙ্গে প্রথম দেখায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী তরুণী]
এদিকে, দু’সপ্তাহ আগে ভাইরোলজিস্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতার নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে তীব্রতার হার কমে মাত্র ০.৮৯ নেমে এসেছে। অর্থাৎ একজন করোনা আক্রান্ত রোগী মাত্র ০.৮৯ জনকে ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত করতে পারছেন। রাজ্যের ক্ষেত্রে ভাইরাসের এই ক্ষমতা ০.৯৬ জন। বিশেষজ্ঞদের তাই দাবি, করোনার তীব্রতা আরও কমে গিয়েছে কলকাতায়।
The post স্বস্তি! কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমে দাঁড়াল মাত্র একটিতে appeared first on Sangbad Pratidin.