অর্ণব দাস, বারাকপুর: খড়দহে তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর খুনের ঘটনার প্রায় ৬ ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার একজন। রবিবার রাতের দিকে আগরপাড়া থেকে অমিত ওরফে শম্ভু পণ্ডিত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তদন্তকারীরা। অমিত পেশায় ভাড়াটে খুনি (Contract Killer) বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। কাউন্সিলরকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছে বলে জানা যায়। আজ ধৃত অমিত পণ্ডিতকে আজ বারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে।
রবিবার পৌনে আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পার্টি অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন পানিহাটির নবনির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। সেই সময় আগরপাড়া এলাকায় বাইকে করে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর মাথা ও ঘাড়ে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন অনুপম। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিটি রোড অবরোধ করেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার। তাঁর তৎপরতায় সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে দ্রুত ঘটনার কিনারা করতে নামেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে নিহত ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর প্রাক্তন সাংবাদিক, জখম আরও এক সংবাদকর্মী]
রাতারাতিই গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ধৃত শম্ভু ওরফে অমিত নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা। এদিন খুনের পর আগরপাড়া সংলগ্ন জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। সিসিটিভি ফুটেজের(CCTV Footage) সূত্র ধরে পুলিশ খোঁজ শুরু করতেই জঙ্গলে তার হদিশ মেলে। খুনের পর পোশাক বদলে সে জঙ্গলে গা ঢাকা দেয়। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে অমিত। তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে তার ঠিক কী ভূমিকা, কে তাকে এই কাজের বরাত দিয়েছিল, সেসব জানতে মরিয়া পুলিশ।