দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দেহরক্ষী ও ভাঙড় থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মহিলাকে গুলি করে খুনের হুমকি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভাঙড়ে (Bhangar)। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, ভিডিওটি মিথ্যে।
বিষয়টি ঠিক কী? জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম তন্দ্রা দাস। ভাঙড়ের চন্দনেশ্বরে তার সাড়ে ১৪ বিঘা জমি রয়েছে। সেখানে ছোটদের একটা স্কুলও ছিল। অভিযোগ, ভাঙড় এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা ভাঙড় ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহাজাহান মোল্লার নেতৃত্বে সেই স্কুল ভেঙে দেওয়া হয় জমি দখলের উদ্দেশ্যে। তন্দ্রা ও তাঁর মা বাধা দিতে গেলে বিষাক্ত স্প্রে করা হয় বলে অভিযোগ। গুলি করে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তন্দ্রাকে উদ্দেশ্য করে শাহাজাহান মোল্লা বলছেন, “দ্বিতীয়বার দেখলে এখানেই গুলি করে দেব।” এবিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন আক্রান্তরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ সাফ জানায় কোনও অভিযোগ নেওয়া যাবে না। এই ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে পরিবার।
[আরও পড়ুন: ঘাড়ে সাংঘাতিক কোপের আঘাত, মধ্যরাতে জীবনদায়ী জটিল অস্ত্রোপচার, ১৮ ঘণ্টায় সুস্থ রোগী]
জানা গিয়েছে, বাগানের দখলদারি আপাতত নেওয়া যাবে না, এমনকী বাগানে প্রবেশও করা যাবে না বলে আক্রান্ত পরিবারকে নির্দেশ ভাঙড় থানার পুলিশের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এইধরনের ঘটনা রাজ্যে প্রায়ই ঘটছে। পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়েই নেতারা এই কাজ করছে। নেতা, পুলিশ সব মিলেমিশে গিয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আমলে পুলিশের সামনেই মহিলাকে গুলি করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” অন্যদিকে, অভিযুক্ত তৃণমুল নেতা শাহাজাহান মোল্লা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা সত্যি নয় বলে দাবি তার।