সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দুই কিশোরের মৃত্যুর দায় কার? স্থানীয়দের দাবি, পুরসভার গাফিলতিতেই ঘটেছে বিপদ। যদিও মহেশতলা পুরসভার পুরপ্রধানের তরফে পাওয়া যায়নি কোনও প্রতিক্রিয়া। এদিকে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা মৃতদেহ আগলে বিক্ষোভ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। পথ দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মৃত্যু ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র মহেশতলার বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের চন্দননগর।
বুধবার দুপুরে মহেশতলার বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের পাশে রাস্তা পারাপারের জন্য দাঁড়িয়েছিল জিহান খান এবং আরিয়ান খান নামে দুই কিশোর। সেই সময় একটি ট্যাঙ্কার তাদের ধাক্কা মেরে চলে যায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। আরেকজনের দুটি হাত বাদ যায়। জখম কিশোরকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসার জন্য বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর প্রাণ হারায় সে।
[আরও পড়ুন: ‘১০০ দিনের কাজের টাকা ফেরান’, রাজ্যপালের দেওয়া দুর্গারত্ন ফেরাল কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব]
এদিকে, পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে ভিড় জমান স্থানীয়রা। এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। দেহ উদ্ধারে বাধা দেয় পুলিশ। বোল্ডার ফেলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা হয় দেহ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি উন্মত্ত জনতার। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি আংশিক স্বাভাবিক হয়। তবে এখনও স্বাভাবিক নয় যানচলাচল। স্থানীয়দের দাবি, মহেশতলা পুরসভার তরফে রাস্তা সারানোর ক্ষেত্রে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তার জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও এবিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।