সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাওড়ার এক জনসভায় প্রচারে গিয়েছিলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। টলিউডে ‘মাফিয়ারাজ’ চলছে। দাবি করেছিলেন তিনি। তারই প্রতিবাদে রবিবার ধিক্কার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে। তা নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
টলিউডকে ‘কালিমালিপ্ত’ করার চেষ্টার প্রতিবাদে এই ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। টলিউডের কিছু শিল্পী, কলাকুশলী মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে কাজের কারণে অনেকেই যেতে পারেননি বলে খবর। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) মেসেজ ছড়িয়ে পড়েছে। যাতে মিছিলে যোগ দেওয়া শিল্পী ও কলাকুশলীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যাঁরা যোগ দেননি বা দিতে পারেননি তাঁদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, যে সমস্ত স্বনামধন্য কলাকুশলীরা যেমন পরিচালক, চিত্রশিল্পী, ক্যামেরা পার্সন, রূপটান শিল্পী প্রমুখেরা আজকের এই ঐতিহাসিক মিছিলে যোগদান করলেন না, ফেডারেশনের অপমানের বিরোধিতা করলেন না, আগামী দিনে ফেডারেশন তাদের নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করবে।” বার্তার নিচে ফেডারেশনের সভাপতি তথা টালিগঞ্জ এলাকার বিদায়ী বিধায়ক অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস এবং সম্পাদক অপর্ণা ঘটকের নাম লেখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: একের পর এক বলি তারকা করোনা আক্রান্ত, বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ফিল্ম ফেডারেশন!]
এই মেসেজ ছড়িয়ে পড়ার পরই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। প্রশ্ন উঠেছে, “গভীর ভাবে চিন্তাভাবনা” কি প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি? প্রশ্নের উত্তরে টলিপাড়ার তারকারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এক সংবাদমাধ্যমকে ‘আর্টিস্ট ফোরামে’র সদস্য এবং অভিনেতা কৌশিক সেন বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার বার অস্বস্তিতে ফেলছেন স্বরূপ বিশ্বাস। এ ধরনের মন্তব্য তাঁর নিজের ভাবমূর্তিতেও আঘাত করছে।” অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় আবার এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি নন। কারণ তিনি বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানেন না। ধিক্কার মিছিল এবং জমায়েত নিয়ে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেন পরিচালক অরিন্দম শীল। তবে ‘ভেবে দেখা’ নিয়ে তিনি বিস্মিত বলে জানান। এটা কি কোনওভাবে প্রচ্ছন্ন হুমকি? এই “গভীর চিন্তাভাবনা”র ব্যাখ্যা সবাই জানতে চাইছে। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের ফেসবুক লাইভে এমনটাই জানালেন রূপাঞ্জনা মিত্র।
নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বরূপ বিশ্বাস ও অপর্ণা ঘটক। ওই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ফেডারেশনের সভাপতি জানান, সকলেই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। কেউ কোনও বিরোধিতা করেননি। এই মানসিকতা ঠিক নয়। মনে রাখতে হবে, এই লড়াইটা কিন্তু সকলের। অপর্ণা দেবী জানান, সংগঠন সমস্ত সদস্যের দায়িত্ব নিয়ে চলছে। সেই সংগঠন এবং সদস্যরা মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত। তাই রবিবার দুপুরে নিজের ইচ্ছায় পথে নেমেছিলেন কলাকুশলীরা। যাঁরা আসতে পারেননি, তাঁদের দায় থেকে যায় সংগঠনকে প্রকৃত কারণ জানানোর। সেই কথাই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।