সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তাঁরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। অথচ বিশ্বকাপের আগে তাঁদেরই চরম ‘অব্যবস্থা’র শিকার হতে হল। ইংরেজ ক্রিকেটারদের দাবি, দীর্ঘ বিমানযাত্রায় তাঁদের বিমানের ইকোনমি ক্লাসে সফর করতে হয়েছে। সাধারণ যাত্রীদের ভিড় ও কোলাহলের মধ্যে কার্যত ‘বাদুড় ঝোলা’ অবস্থা হল জো রুট, জনি বেয়ারস্টোদের।
আসল ঘটনাটি দিন দুই আগের। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য গুয়াহাটি যেতে হয়েছে ইংল্যান্ড দলকে। সেই ম্যাচ যদিও বৃষ্টির জন্য বাতিল হয়েছে। অভিযোগ, জো রুট, বাটলারদের যাত্রার জন্য যেমন ব্যবস্থা থাকা উচিত তেমন ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রথমত, লন্ডন থেকে গুয়াহাটি টানা ৩৮ ঘণ্টা পথেই কাটাতে হয়েছে ইংল্যান্ড দলকে, তার উপর আবার সফর করতে হয়েছে বিমানের ইকোনমি ক্লাসে।
[আরও পড়ুন: অশোকচক্রের জায়গায় সবুজ গম্বুজ, বাড়ির ছাদে বিকৃত জাতীয় পতাকা, গ্রেপ্তার যুবক]
সাধারণ যাত্রীদের মাঝে প্রায় গুটিয়ে বসে, ক্লান্ত বাটলাররা সফর করেছেন। তাঁদের চার দিকে সাধারণ মানুষের ভিড়, কোলাহলে ঠিকমতো বিশ্রামটুকুও করতে পারেননি তাঁরা। শেষে একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিমানযাত্রা শেষ হওয়ার আগেই সোশাল মিডিয়ায় রসিকতার সুরে ক্ষোভপ্রকাশ করেন ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো। তিনি লেখেন, ‘অসম্ভব চিৎকার। যাত্রার শেষ দফা এখনও বাকি। ৩৮ ঘণ্টার পরেও যাত্রা চলছে।’
[আরও পড়ুন: বছরের দলিত পড়ুয়াকে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক, রাজস্থানের স্কুলে ভাঙচুর উত্তেজিত জনতার]
ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের এই অবস্থা দেখে সোশাল মিডিয়ায় হাসাহাসিও চলছে। কেউ বলছেন, বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এ কী হাল! কেউ আবার তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলছেন, ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের জন্য আরও ভাল ব্যবস্থা হওয়া উচিত ছিল। যদিও ভারতীয় বোর্ড সূত্রের খবর, ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা লন্ডন থেকে দুবাই হয়ে মুম্বই পর্যন্ত বিমানের ইকোনমি ক্লাসেই এসেছেন। শুধু মুম্বই থেকে গুয়াহাটি তাঁদের যেতে হয়েছে বিজনেস ক্লাসে। কারণ অন্তর্দেশীয় উড়ানে সাধারণত গোটা দলের জন্য যত আসন প্রয়োজন হয়, তত বিজনেস ক্লাস আসন থাকে না। তাই সব দলকেই এভাবে যাত্রা করতে হয়।