জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: এবার বেফাঁস বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। ক্ষমতায় এলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের এনকাউন্টারের হুমকি দিলেন তিনি। বুধবার দুপুরে গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাজার থেকে এহেন মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)। এই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কুণাল ঘোষ।
মঙ্গলবার নদিয়ার (Nadia) কল্যাণীতে কর্মিসভা চলাকালীন আক্রান্ত হন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি রামপদ দাস। তৃণমূল এর নেপথ্যে, এই অভিযোগ তুলে বুধবার বেলা বারোটা থেকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার গোপালনগর থানার নহাটা বাজার, বাগদা থানার হেলেঞ্চা বাজার-সহ একাধিক জায়গায় অবরোধ শুরু করে বিজেপি। বারোটা থেকে গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাজারে যশোর রোড অবরোধ করা হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা অবরোধ চলে। শতাধিক কর্মী-সমর্থক ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে যশোর রোডে জমায়েত করে। সেই অবরোধে ভাষণ দেওয়ার সময় স্বপনবাবু বলেন, “গতকাল তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর লোকেরা জেলা সভাপতির উপর আক্রমণ চালিয়েছে। এটা খুবই নিন্দনীয়। সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল ক্রমাগত বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর অত্যাচার করছে৷
[আরও পড়ুন: ফের ১০ হাজারের গণ্ডি ছাড়াল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, শীর্ষে কলকাতাই]
এরপরই উত্তরপ্রদেশের কথা উল্লেখ করে হুমকির সুরে তিনি বলেন, “আমাদের সভাপতিকে পার্টি অফিসের মধ্যে ঢুকে মারার চেষ্টা করেছে৷ টিএমসির নেতৃত্বকে বলব আপনারা শান্ত বনগাঁকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না৷ তাহলে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। যারা তালিবানি শাসনে বিশ্বাসী, তৃণমূলের সেই সমস্ত হার্মাদদের বলে দিতে চাই, আমরা ক্ষমতায় এলে এই পুলিশ দিয়েই আপনাদের এনকাউন্টার করা হবে।”
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে এমন কথা কীভাবে বললেন! আশ্চর্য হতে হয়। ওরা আসলে উত্তরপ্রদেশের পুলিশদের দেখে অভ্যস্থ। যখন-তখন এনকাউন্টার হয় ওখানে। সেই জন্য এসব বলে।” এদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে ভয়ের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ তুলে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান শংকর দত্ত বলেন, “বিজেপি একটি উচ্ছৃঙ্খল দল। ওদের বিষয়ে যত কম বলা যায়, ততই ভাল। ওরা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে৷ ওরা পালানোর পথ পাবে না, বাংলার মানুষ তৈরি আছে। স্বপন মজুমদার একজন জালিয়াত। ওর বিরুদ্ধে মামলা চলছে৷ বিধায়ক পদ খারিজ হবে।”