দেবব্রত দাস, খাতড়া: “চারমাসের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে বাংলায়”, বাঁকুড়ার রাইপুরের সভা থেকে দৃঢ় কণ্ঠে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দলের কর্মীদের তৃণমূলের তোলাবাজির হিসেব নেওয়ার নিদান দিলেন তিনি। স্বাগত জানালেন পুজো (Durga Puja 2020) নিয়ে হাই কোর্টের রায়কে।
সোমবার কৃষি আইনের সমর্থনে বিজেপির তরফে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল বাঁকুড়ার রাইপুরে। সৌমিত্র খাঁ-সহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডা. সুভাষ সরকার, যুব মোর্চার সৌগত পাত্র ও অন্যান্যরা। সেই সভা থেকেই শাসকদলের নাম না করে সৌমিত্র খাঁ বলেন, “জঙ্গল মহলকে খেপিও না। জঙ্গলের কাঠ দিয়ে এমন মারধর করা হবে, পালিয়ে যেতে হবে।” এরপরই বিস্ফোরক দাবি করেন সাংসদ। বলেন, “রাজ্য তৃণমূল যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে তাতে চারমাসের মধ্যে, ডিসেম্বরেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে।” কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “পঞ্চায়েত স্তরে যেখানে তৃণমূলের দুর্নীতি চোখে পড়বে ঘেরাও করে তোলাবাজির হিসেব নেবেন।” বিজেপি সাংসদের এহেন মন্তব্যে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন: ‘উগ্রপন্থীদের রাজভবনে জায়গা দিচ্ছেন রাজ্যপাল’, বেনজির আক্রমণ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের]
পথসভা শেষে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন সৌমিত্রবাবু। সেখানে একাধিক ইস্যুতে কথা বলেন তিনি। রাজ্যের পরিস্থিতি থেকে ছত্রধর মাহাতো, সব কিছুই ছিল আলোচনার বিষয়। এদিন করোনা পরিস্থিতিতে পুজো নিয়েও মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ। স্বাগত জানান আদালতের রায়কে। সকলকে নিজের পাড়ার পুজো দেখার, তাতে শামিল হওয়ার আবেদন করেন। পরামর্শ দেন সর্তক থাকার। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে পুজো কীভাবে হবে তা নিয়ে আগেই একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। কিন্তু ভিড় নিয়ন্ত্রণ কীভাবে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পরবর্তীতে সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট রায় দেয়, পুজো মণ্ডপগুলি হবে কনটেনমেন্ট জোন। দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। এই রায়ের বিরোধিতা করে আজ আদালতের দ্বারস্থ ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।