shono
Advertisement

‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, মানতে হবে ওটাই বিরসা মুন্ডার মূর্তি’, অকাট্য যুক্তি দিলীপের

অমিত শাহের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পরই তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয় মূর্তিটি আদৌ বিরসা মুন্ডার নয়।
Posted: 08:59 AM Nov 08, 2020Updated: 11:06 AM Nov 08, 2020

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাঁকুড়ার বিরসা  মুন্ডার মূর্তি প্রসঙ্গ এবার তৃণমূলকে পালটা আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মূর্তিটি আদতে কার? সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বললেন, “অমিত শাহ (Amit Shah) শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, তাই মেনে নিতে হবে ওটা বিরসা  মুন্ডারই মূর্তি।” বিজেপি সাংসদের এহেন যুক্তিতে হতবাক অনেকেই।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় বিরসা  মুন্ডার মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরবর্তীতে তৃণমূলের তরফে বলা হয় যে মূর্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মালা দিয়েছিলেন সেটা নাকি একজন আদিবাসী শিকারির মূর্তি। সেই প্রসঙ্গেই শনিবার তৃণমূলকে তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মূর্তিতে মাল্যদান নিয়ে অনেক চর্চা হচ্ছে শুনছি। ওটা নাকি বিরসা  মুন্ডার মূর্তি ছিল না। কিন্তু তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ থেকেই বিরসা  মুন্ডা মোড় নামকরণ হয়েছে। ওখানে যে মূর্তি ছিল সেটাকে সরিয়ে অন্য মূর্তি লাগানো হয়। সরকারই তা লাগিয়েছে। তারাই আবার বলছে ওটা বিরসা  মুন্ডার মূর্তি নয়। তাহলে কি তারা বিরসা  মুন্ডাকে অপমান করছে মূর্তি সরিয়ে দিয়ে?” তিনি আরও বলেন, “বিরসা  মুন্ডাকে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে দেখি। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্মান জানিয়েছেন। ছবি রেখে মালা দেওয়া হয়েছে। বিরসা  মুন্ডা ভেবে আমরা শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, ঘোষণা করেছেন। তাই ওটা বিরসা  মুন্ডার মূর্তি মেনে নিতে হবে।” এটা নিয়ে রাজনীতি করে জঙ্গলমহলের মানুষকে তৃণমূল অপমানিত করছে বলে তোপ দিলীপবাবুর।

[আরও পড়ুন:দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩০ ও ৩১ নম্বর লকগেটে ফের ফাটল, ক্রমশই বাড়ছে জল সংকটের আশঙ্কা]

বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেছেন অমিত শাহ। দিলীপ ঘোষ বলেন, বিভীষণ হাঁসদার মেয়ে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। এইমসে তার চিকিৎসা যাতে হয় সে ব্যাপারে দেখার জন্য বাঁকুড়ার সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারকে বলে গিয়েছেন অমিত শাহ। এদিকে, বিজেপির যুব মোর্চার ২১টি জেলা সভাপতির নাম এদিন ঘোষণা করা হয়। আগে ঘোষিত যুব মোর্চার সব জেলা সভাপতি ও জেলা কমিটি বাতিল করে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেটা নিয়ে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে দিলীপবাবুর মত বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। এদিন যে ২১টি জেলার যুব সভাপতিদের নাম ফের ঘোষণা হয়, তাতে পুরনোরাই রয়েছেন বলে খবর। তবে বাকি ১৭ টি জেলার যুব সভাপতির নাম নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। ফলে সেগুলি এখনও ঝুলে রইল।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে সামান্য কমল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সংক্রমণের নিরিখে ফের শীর্ষে কলকাতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement