সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: এবার পাথরপ্রতিমার সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে শিকড় থেকে উপরে ফেলার ডাক দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিধানসভা নিবার্চন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কর্মীদের বাঁশ নিয়ে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিলেন তিনি। হাথরাস ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন সাংসদ। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে সভায় যোগ দিতে পাথরপ্রতিমার জি প্লট পঞ্চায়েতের ইন্দ্রপুরে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানেই একুশের নির্বাচন নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। আশ্বাস দেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসবেই। সেই সময় ভোট লুঠ প্রসঙ্গে এক কর্মী প্রশ্ন করলে বিজেপি সাংসদ বলেন, “দিদির পুলিশ দিয়ে এবার ভোট হবে না। দিল্লি থেকে অমিত শাহের পুলিশ আসবে। বুথের একশো গজের মধ্যে দিদির পুলিশ, তৃণমূলের গুণ্ডা কেউ-ই পৌঁছতেই পারবে না।” এরপরই নির্দেশের সুরে বিজেপি কর্মীদের তিনি বলেন, “ভোটের দিন গ্রামের মুখে বাঁশ নিয়ে বসে থাকবেন। ভোট লুঠ করতে এলে একজনকেও হেঁটে বাড়ি ফিরতে দেবেন না।”
[আরও পড়ুন: সাতসকালে বাড়িতে অনুব্রত মণ্ডলের নামে হুমকি চিঠি, বোমা! ভয়ে কাঁটা রেশন ডিলার]
সভা থেকে তৃণমূলকে শিকড় থেকে উপরে ফেলার ডাকও দেন দিলীপবাবু। বলেন, “রাজ্যের ক্ষমতা তৃণমূলের হাতে থাকলে বাংলার মানুষের সম্মান থাকবে না।” এরপরই হাথরাস প্রসঙ্গে বেফাঁস মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “বাংলার পাড়ায় পাড়ায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তখন মুখ্যমন্ত্রী চুপ। উত্তরপ্রদেশে কে একজন মহিলার ধর্ষণ নিয়ে দিদিমণি রাস্তায় হেঁটে বেড়াচ্ছেন।” সাংসদের এহেন মন্তব্য মোটেও ভালভাবে নেননি সাধারণ মানুষ। এদিন কেন্দ্রের দেওয়া টাকা ও আমফান প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বলেন, “কেন্দ্রের পাঠানো সব টাকা লুঠ করে নিচ্ছে তৃণমূল। টাকা ভাইদের হাত ঘুরে দিদির বাড়ি কালীঘাটে চলে যাচ্ছে। ভোটে জেতার খরচ জোগাড় হচ্ছে।”আমফানের জন্য কেন্দ্রের দেওয়া হাজার কোটি টাকার হিসেব কোথায়, এদিনের সভা থেকে তা নিয়েও সুর চড়ান দিলীপ। সবমিলিয়ে এদিনও বিজেপি সাংসদের নিশানায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকার।