শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ‘ভোটের দিন বিজেপি কর্মীদের বুথে যেতে দেওয়া যাবে না। তাঁদের চমকে রাখতে হবে’, এমন নিদান দিয়ে বিতর্কে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) নরেন চক্রবর্তী। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিও। তবে এই বক্তব্যটি গত বিধানসভা ভোটের নাকি পুরসভা ভোটের নাকি এই লোকসভার প্রেক্ষিতে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন।
কী দেখা যাচ্ছে সেই ভিডিওয়? পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক মাইক হাতে বলছেন, “যারা কট্টর বিজেপি, যাদেরকে হারানো যাবে না, তাঁদেরকে চমকাতে হবে। বলবে, আপনি যদি ভোট দিতে যান, আমরা ধরে নেব বিজেপিতে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন। সেটা আপনার নিজের রিস্ক। আর যদি ভোট দিতে না যান, আমরা ধরে নেব আপনি আমাদের সমর্থন করছেন। আপনি ভালভাবে থাকুন। চাকরি করুন। ব্যবসা করুন। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।”
[আরও পড়ুন: লাগাতার হামলার জের, ফের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার]
তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেপি নেতা তথা অগ্নিমিত্রা পলের ইলেকশন কনভেনার জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর দাবি, বিধায়কের বক্তব্যেই বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে ওনারা হারবেন এটা নিশ্চিত। জিতেন্দ্র তিওয়ারির কটাক্ষ, “উনি তো অনুব্রত মণ্ডলের শিষ্য। কয়েকদিন দিন পর গুরু জেলে যাবেন।” নরেনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জিতেন্দ্র আরও বলেন, “অনুব্রতর সঙ্গে লুডো খেলার জন্য হয়তো আপনাকেই যেতে হতে পারে। তাই এসব কথাবার্তা না বলাই ভাল।” এদিকে তৃণমলের দাবি, এই ভিডিওটিকে বিজেপির তরফে পরিকল্পনা মাফিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে ইতিমধ্যেই ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও বিজেপি প্রার্থী ২০০ থেকে ২৫০ কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছেন। তাঁদের তরফে বারংবার বলা হচ্ছে, ভোটাররা নিজের ভোট নিজে দিতে পারলেই বিজেপির জয় নিশ্চিত। পাণ্ডবেশ্বরের এহেন মন্তব্যে আবারও রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াল আসানসোলে।