নন্দন দত্ত, বীরভূম: উপাসনা গৃহ থেকে ফের বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য। এদিন বসন্ত উৎসব নিয়ে মুখ খুললেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty)। বললেন, “বসন্ত উৎসবের নামে এখানে বসন্ত তাণ্ডব হত। তাই বন্ধ করে দিয়েছি।” বিশ্বভারতীয় বসন্ত উৎসবে জড়িয়ে ঐতিহ্য, তা নিয়ে উপাচার্যের এহেন মন্তব্যে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
কোভিডের কারণ ২০২০ সাল থেকে বন্ধ বসন্ত উৎসব। গতবছর পরিস্থিতি আয়ত্তে এলেও বসন্ত উৎসব হয়নি। এবছরও হচ্ছে না বসন্ত উৎসব। বরং আয়োজন করা হয়েছে বসন্ত বন্দনার। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। তা নিয়ে উপাসনা গৃহে বসে মুখ খুললেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বসন্ত উৎসবের নামে বসন্ত তাণ্ডব চলে বিশ্বভারতীতে। কিছু বুড়ো খোকারা থাকেন এর পিছনে। তাই তাণ্ডব বন্ধ করেছি। বসন্ত বন্দনা হবে।”
[আরও পড়ুন: মাওবাদী তকমা উড়িয়ে ১৩ বছর পর বেকসুর খালাস নন্দীগ্রাম জমি রক্ষা আন্দোলনের চারণ কবি]
উপাচার্যের কথায়, “রবীন্দ্রনাথ উৎসব চাননি, তিনি বন্দনা চেয়েছিলেন। আমরা সেটাই করব। তাণ্ডব বন্ধ করে হবে বসন্ত বন্দনা।” এদিন ফের বিশ্বভারতীর একাংশকে অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বলে কটাক্ষও করেছেন উপাচার্য। যা নিয়ে শুরু সমালোচনা। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসবের একটা আলাদ ঐতিহ্য রয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে প্রতিবছর বহু মানুষ শামিল হতেন সেই উৎসবে।