নন্দন দত্ত, বোলপুর: বোলপুরে পৌষ উৎসব শুরুর আগেই বেফাঁস বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য জানালেন, “জেলা প্রশাসনের আয়োজিত পৌষ উৎসবের সূচনায় অভিযুক্তদের পাশে বসতে পারব না।” এই মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক।
বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠিকভাবে শুরু হল দুটি পৌষ উৎসব। একটি শুরু হল বিশ্বভারতীতে। ছোট আকারে, তাঁদের নিজস্ব ঢংয়ে। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হল বৈতালিক। রাতে গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক, শান্তিনিকেতন গৃহে সানাই বাদনের মধ্য দিয়ে নমো নমো করে শুরু হল বিশ্বভারতীর পৌষ উৎসব। একইভাবে বিকল্প পৌষমেলা হল সাড়ম্বরে। বোলপুর ডাকবাংলো ময়দানে শান্তিনিকেতনের আদলে বৈতালিক ও রাতে সানাই বাদনের মাধ্যমে শুরু হল বোলপুর-শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা। লোকসংস্কৃতি ও হস্তশিল্পের দেড় হাজারের বেশি স্টল নিয়ে আগামিকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত, প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজ কলি সেন, প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর-সহ অন্যান্যরা।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় হ্যান্ডলারের মাধ্যমে পাকিস্তানে তথ্য পাচার? শিলিগুড়িতে ধৃত চরকে নিয়ে তদন্তে STF]
সেই উৎসবের আগেই প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানালেন জেলা প্রশাসনের বিকল্প পৌষ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাঁদের অনেকেই সিবিআই-ইডি’র তদন্তের আওতায় আছেন। এছাড়াও বিশ্বভারতীর দুই প্রাক্তন উপাচার্যকেও তিরস্কার করা হয়। বলা হয়, দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে একমঞ্চে বসতে পারবেন না উপাচার্য। জনসংযোগ আধিকারিকের দেওয়া এই প্রেস বিবৃতি দেওয়ার পরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উপাচার্যের বিতর্কিত বিবৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, “আমন্ত্রণ সকলকেই করা হয়েছে। যারা সম্মতি দিয়েছেন তাদের কার্ডে নাম আছে। উনি কখন কী বলেন ওনার ব্যাপার। বলতে হয় তাই বলেছেন। শিক্ষাবিদদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য ঠিক নয়। এখানে আসার আগে উপাচার্যের নামেও অভিযোগ ছিল শুনেছি। কারও সম্পর্কে বলার আগে নিজেকে ঠিক হয়ে বলা উচিত।