সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহেও পাকিস্তানে (Pakistan) থামছে না হিন্দু নির্যাতন। এবারও শিরোনামে সেই সিন্ধ প্রদেশ। অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে বিয়ে করে এক পুলিশকর্মী। পাশাপাশি তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হয়।
[আরও পড়ুন: লাদাখে সেনা প্রত্যাহারের মাঝেই রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ভারতের বিদেশ সচিবের]
জানা গিয়েছে, সিন্ধ প্রদেশের নৌশাহর ফিরোজ জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানকার বাসিন্দা রমেশ লালের কন্যা নিনা কুমারীকে অপহরণ করে গুলাম মারুফ কাদরি নামের এক পুলিশকর্মী। নিয়তির পরিহাস! জঙ্গি ও মৌলবাদীদের হাত থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের রক্ষা করার জন্যই সেখানে কাদরিকে মোতায়েন করা হয়েছিল। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের মধ্যে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় হিন্দু নেতা জানান, দিন পাঁচেক আগে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় নিনা। খোঁজ চালিয়ে তাঁর পরিবার অপহরণের কথা জানতে পারেন। ‘অল পাকিস্তান হিন্দু পঞ্চায়েত’-এর অভিযোগ ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ নিনাকে অপহরণ করে স্থানীয় দরগায় নিয়ে যায় ওই পুলিশকর্মী। সেখানেই ওই হিন্দু নাবালিকার ধর্মান্তকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তারপর তাকে করাচিতে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করে গুলাম মারুফ কাদরি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই পাক হিন্দুদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে একটি চিঠি দেয় ‘হিন্দু ফোরাম অফ ব্রিটেন’। এই ফোরামের ছত্রছায়ায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ হিন্দু সংগঠন। চিঠিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু নাগরিকরা খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। নানা অত্যাচার ও অবিচারের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। ক্রমে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে হিন্দুদের রক্ষা করতে দ্রুত ও কার্যকরী ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।” জনসনের কাছে হিন্দু সংগঠনগুলির আবেদন, অবিলম্বে একটি উচ্চপর্যায়ের সরকারি কমিটি তৈরি করা হোক। সেই কমিটি পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে তদন্ত করবে। রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক দেশগুলিকে নিয়ে একইভাবে তদন্তের দাবি তুলেছেন সংগঠনগুলির কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, যেভাবেই হোক গণহত্যা, অত্যাচার-অবিচার থেকে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে হবে। সংগঠনের সদস্যরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পাকিস্তানের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট করে কোনও নাম উল্লেখ না করলেও বরিস জনসনকে লেখা চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, জনমানসে হিন্দু বিদ্বেষ তৈরি করতে পাকিস্তানের কিছু প্রভাবশালী মানুষ সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।