অর্ণব আইচ: দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ তরুণীর। বৃহস্পতিবার সকালে খাস কলকাতার (Kolkata) এই ঘটনা ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে জলপুলিশের তৎপরতায় সঙ্গে সঙ্গে তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটা-এগারোটা। ব্যস্ত সময়। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে অহরহ ছুটছে গাড়ি। রয়েছে পুলিশি টহলদারি। এর মাঝেই পুলিশের চোখ এড়িয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন এক ২৭ বছরের এক তরুণী। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিলে মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু কথায় আছে, রাখে হরি তো মারে কে! সেই বরাতজোরেই সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভোটে হারের পর পরিচিতরাও অশ্রাব্য গালিগালাজ দিয়ে চিঠি লিখছেন, বিস্ফোরক সূর্যকান্ত]
তরুণী যখন সেতু থেকে ঝাঁপ দেন ঠিক সেই সময় গঙ্গার ওই অংশে টহল দিচ্ছিল জল পুলিশ। তাঁদের চোখের সামনেই গঙ্গায় পড়েন মেয়েটি। ফলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তরুণী নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারবারিক অশান্তির জেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তরুণী। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় রক্ষা পেলেন তিনি।
সপ্তাহ তিনেক আগে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহ্ত্যার চেষ্টা করেছিল ভিনরাজ্যের এক নাবালক। তবে পুলিশের চেষ্টায় ওই যাত্রায় রক্ষা পায় সে। জানা গিয়েছিল, আদতে অসমের বাসিন্দা বছর ১৭-এর ওই নাবালক। অভাব নিত্যসঙ্গী। তাই ছোটবেলায় পড়াশোনা ছেড়ে উপার্জনের তাগিদে পৌঁছে গিয়েছিল হায়দরাবাদে (Hyderabad)। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তার কাজ চলে যায়। স্বাভাবিকভাবে চূড়ান্ত আর্থিক অনটনে ভুগতে শুরু করে সে। বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই কিশোর। সেই মতো হায়দরাবাদ থেকে চলে আসে কলকাতায়। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে সাঁতরাগাছি স্টেশনে নামে। সেখানে পৌঁছনোর পরই দুশ্চিন্তা গ্রাস করে তাকে। পরিবারের সদস্যদের কী বলবেন, কীভাবে অভাব ঘুচবে, কাজ পাবে কি না, এসব নিয়ে চিন্তা করছিল সে। এরপরই দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে।