সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের মৃতদেহ রাখার জন্য যে স্কুলকে মর্গ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি পুনর্গঠন করতে ২.৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
চলতি মাসের গোড়ায় বালেশ্বরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর মৃতদেহগুলি রাখার জন্য স্থানীয় একটি স্কুলকে মর্গ করা হয়েছিল। কাজ মিটে যাওয়ার পর ভেঙে দেওয়া হয় স্কুলটি। শুক্রবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, স্কুলটি পুনর্গঠনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ওই টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: গুজরাটে হবে ফিনটেক অপারেশন সেন্টার, মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বড় ঘোষণা পিচাইয়ের]
মর্গ হিসাবে ব্যবহার করার কারণে ওই স্কুলের পড়ুয়ারা সেখানে পড়তে আসতে চাইছে না বলে জানিয়েছিল স্কুল পরিচালন কমিটি। একই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য ছিল, স্কুল বাড়িটি খুবই প্রাচীন হয়ে যাওয়ায় পড়াশোনার জন্য সুরক্ষিত নয়। আবার স্কুল থাকা দেহগুলির ছবি বিভিন্ন জায়গায় দেখে তাঁদের সন্তানরা ভীত ও মর্গের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার দৃশ্যও ছোটদের মনে গেঁথে গিয়েছে, তাই অবিলম্বে স্কুলটি ভেঙে ফেলার দাবি তুলেছিলেন স্কুল পড়ুয়াদের বাবা-মায়েরা। উল্লেখ্য, গত ২ জুন বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস-সহ তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে প্রাণ হারান প্রায় তিনশো যাত্রী। আহত হন বারোশোরও বেশি।
এর পরই মুখ্যমন্ত্রী শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বালেশ্বরের কাছে ওই স্কুলটি ভেঙে ফেলতে বলেন। গত বুধবার গ্রীষ্মের ছুটির পর প্রথম স্কুল খোলে। আপাতত স্কুল চত্বরে অস্থায়ীভাবে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে বলে খবর।