সুকুমার সরকার, ঢাকা: অবশেষে করোনা (Coronavirus) আতঙ্ক কাটিয়ে বাংলাদেশে খুলল স্কুল। ঠিক ৫৪৪ দিন পর আগের মতো স্কুলড্রেস পরে, পিঠে ব্যাগ নিয়ে ক্লাসে ফিরল পড়ুয়ারা। তবে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তবেই তারা স্কুলে (Schools) প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। আর দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে ফের সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসল শিশু থেকে কিশোর পডুয়া – সকলেই। দেখা গেল, কোনও কোনও স্কুলের গেটের বাইরে পড়ুয়াদের গোলাপ দিয়ে স্বাগত জানালেন শিক্ষকরা। খুলে গিয়েছে মাদ্রাসাগুলিও। বহুদিন পর মাদ্রাসায় যেতে পেরে খুশি ছাত্ররা।
আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্কুল-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাবে। সেইমতো স্বাস্থ্যবিধির দিকে বাড়তি নজর রাখা হয়। সপ্তাহখানেক আগে থেকেই প্রস্তুতি চলছিল। করোনা কালে স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখতে হবে বলে কড়া নির্দেশ ছিল প্রশাসনের। তাই স্কুলগুলির বাইরে থার্মাল স্ক্যানার, বেসিন বসানো হয়। যাতে পডুয়ারা স্কুলে এসে হাত ভালভাবে ধুয়ে তবেই ক্লাসে ঢুকতে পারে, সেজন্যই এই ব্যবস্থা।
[আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানকে অনুসরণ নয়, আফগানিস্তান নিয়ে ‘স্বাধীন সিদ্ধান্ত’ নেবে বাংলাদেশ]
সবরকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে অবশেষে ৫৪৪ দিন পর খুলল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রবিবার সকাল ৭টা থেকে স্কুলের বাইরে দেখা গেল, অভিভাবকদের হাত ধরে ছোট ছোট পড়ুয়ারা হাজির হয়েছে। যদিও অভিভাবকদের একেবারেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পড়ুয়াদের মুখে মাস্ক আছে কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। তারপর থার্মাল স্ক্যানারে (Thermal scaner) তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার পরই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষেও পড়ুয়াদের বসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেঞ্চে শারীরিক দূরত্ব মেনে বসছে পডুয়ারা।
[আরও পড়ুন: অক্টোবরেই ভারত থেকে মিলবে করোনা টিকা, জানালেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী]
তবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি জানিয়ে দিয়েছেন, স্কুল খোলার পর যদি দেখা যায় সংক্রমণ বাড়ছে, তাহলে ফের তা বন্ধ করার পথে হাঁটবে প্রশাসন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে শেষবার স্কুলে গিয়েছিল পডুয়ারা। তারপরই করোনার কোপে সব বন্ধ হয়ে যায়। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ফের স্কুল খুলল। দিনের হিসেব অনুযায়ী, ৫৪৪ দিন। তবে স্কুলে ফেরার খুশির সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মনে আশঙ্কাও রয়েছে, বাড়তি সংক্রমণের জেরে অদূর ভবিষ্যতে না আবার স্কুল বন্ধ হয়ে যায়।