সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন সপ্তাহে ফের নিম্নমুখী দেশের কোভিড (COVID-19) গ্রাফ। মাঝে একদিন অস্বস্তি বাড়িয়ে দৈনিক করোনা সংক্রমণ পেরিয়ে গিয়েছিল ৫০ হাজারের কোটা। কিন্তু সোমবার তা ফের নেমে এল অনেকটাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের নতুন করো করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৪৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৭৯ জনের। বহুদিন পর দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা নামল হাজারের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৫৭৮ জন। ফলে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৬.৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে কমেছে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যাও। এই মুহূর্তে তা ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৯৯৪। দেশে করোনার বলি মোট ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৩০। সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৯ হাজার ৬০৭ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে টিকাকরণ (Corona vaccination) হয়েছে ৩২ কোটি ২৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৯৭ জনের। বিশ্বের টিকাকরণ গ্রাফ অনুযায়ী, এই পরিসংখ্যান নিয়ে আমেরিকাকেও টপকে গেল ভারত। ফলে দেশে করোনা টিকাদানের হার বেশ সন্তোষজনক বলেই মনে করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগে হাতে বাড়তি সময়, ছোটদের টিকাকরণে জোর IMCR’এর বিজ্ঞানীর]
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা ধীরে ধীরে সামলে উঠেছে ভারত। এবার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। যদিও ICMR’এর কোভিড গ্রুপের রবিবারই জানিয়েছে, এখনই নয়, মহামারীর তৃতীয় ধাক্কা আসতে আরও ৬ থেকে ৮ মাস দেরি। তবে এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একে কাজে লাগিয়ে ছোটদের টিকাকরণে জোর দিতে হবে। সকলের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বাড়িয়ে তুললেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা সম্ভব। নাহলে তা ফের প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের শেষবেলা চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) ভ্যারিয়েন্ট। এই স্ট্রেনের সংক্রমণ সামান্য হলেও বাড়ছে দেশে।