মলয় কুণ্ডু: বেসরকারি অফিসগুলিতে নিজ উদ্যোগে কর্মীদের করোনা টিকাকরণে (Corona vaccine) ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার। চাইলে কোনও সংস্থার কর্তৃপক্ষ নিজেদের কর্মীদের অফিসে ভ্যাকসিন প্রদান করতে পারে। তার জন্য পুরসভায় খবর দিলে স্বাস্থ্যকর্মীরা সেখানে গিয়ে টিকাদান করবেন। মঙ্গলবার নবান্নে এ নিয়ে বণিকসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া কলকাতায় করোনা সংক্রমণ সবেচেয় বেশি বাড়তে থাকায় টিকাকরণের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ তারিখ থেকে এক সপ্তাহের জন্য কলকাতা পুরসভার (KMC) ১৪৪ টি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার বণিকসভাগুলির সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর ফের কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কলকাতা পুরসভার ১৪৪ ওয়ার্ডের পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আপাতত এক সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। রাজ্যে রোজ ৪ লক্ষ মানুষকে টিকাদানের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। ১৬ তারিখ থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর ধাপে ধাপে এই টিকাদানের হার বাড়ানো হবে।
[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডে আরও স্বস্তিতে অনুপ মাজি, সুপ্রিম কোর্টে বাড়ল রক্ষাকবচের মেয়াদ]
বেসরকারি অফিসগুলিতে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মীদের টিকাদানের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিলেও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কড়া রাজ্য সরকার। পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালানোর পাশাপাশি থার্মাল চেকিং, লিফটে চারজনের বেশি ওঠায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে বড় বড় আবাসনের কর্তৃপক্ষ যদি তাঁদের আবাসিকদের জন্য নিজ উদ্যোগে ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র চান, মঙ্গলবারের বৈঠকে সেই অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।