সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ রাজ্যজুড়ে দ্বিতীয় দফায় করোনার টিকাকরণ। সকাল ৯টা থেকেই রাজ্যের ২০৭ কেন্দ্রে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিনেশনের প্রথম দিন লক্ষপুরণ হয়নি। প্রচুর পরিমাণ ভ্যাকসিনের অপচয় হওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। তাই দ্বিতীয় দফায় আটঘাট বেঁধে নামছে স্বাস্থ্য ভবন। কোনওভাবেই ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) যাতে অপচয় না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যের ২০৭টি টিকাকরণ কেন্দ্রকেই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
আসলে কোভিশিল্ডের (Covisheild) একেকটি ভায়াল থেকে টিকা দেওয়ার কথা দশজনকে। গ্রহীতা পিছু টিকা দেওয়ার কথা ৫ মিলিলিটার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ৫ মিলিলিটার করে ভ্যাকসিন ১০ জনকে দেওয়ার পরও ভায়ালে কিছু পরিমাণ ভ্যাকসিন অবশিষ্ট থাকছে। প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই অবশিষ্ট ভ্যাকসিন ব্যবহার না করে ফেলে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না স্বাস্থ্য ভবন। সেকারণে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণের (Vaccination) আগে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, কোনও ভ্যাকসিনের অপচয় করা যাবে না। একটি ভায়াল থেকে ১০ জনকে টিকা দেওয়ার পর যতটা অবশিষ্ট থাকবে, সেটাও ব্যবহার করতে হতে। অবশিষ্ট ভ্যাকসিনের পরিমাণ যদি ৫ মিলিলিটার হয়, তাহলে তো সমস্যাই নেই। অন্য গ্রহীতার শরীরে তা দেওয়া যাবে। আর যদি তার কমও হয়, তাও ব্যবহার করতে হবে।
[আরও পড়ুন: কাটল উদ্বেগ, করোনার টিকাকরণের পর অসুস্থ হয়ে পড়া নার্সের শারীরিক অবস্থার উন্নতি]
এদিকে, প্রথম দিন টিকাকরণের লক্ষ্যপুরণ হয়নি। হিসেব মতো শনিবার রাজ্যে টিকা নেওয়ার কথা ছিল ২০ হাজার ৭০০ জনের। কিন্তু দিনের শেষে টিকা নিয়েছিলেন মাত্র ১৬ হাজার করোনা যোদ্ধা। কয়েকটি জেলায় টিকাকরণের ১০০ শতাংশ টার্গেট পুরণ হলেও কলকাতায় তা পুরণ হয়নি। শনিবার শহরে টিকাকরণ হয় ৯০ শতাংশের আশেপাশে। আরও কয়েকটি জেলা প্রথম দফায় টিকাকরণের টার্গেট পুরণ করতে পারেনি। তাই আজ টার্গেট পূরণে বদ্ধপরিকর রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। চিকিৎসা কর্মীদের অনুরোধ করা হয়েছে, এই দফায় যাদের নাম আছে, তাঁরা যেন টিকা নেন। এদিকে, আগের দিন টিকাকরণের মাঝপথেই বিকল হয়েছিল CoWin অ্যাপ। যা এখনও ঠিক হয়নি। ফলে আজ টিকাকরণের ক্ষেত্রে বহু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।