সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: অপেক্ষার অবসান। পুণে থেকে রাজ্যে এসে পৌঁছল করোনার প্রতিষেধক ভ্যাকসিন (Corona vaccine) কোভিশিল্ড। মঙ্গলবার ঠিক দুপুর ২.২৬ মিনিটে স্পাইসজেটের বিমান দমদম বিমানবন্দরে (Dumdum airport) অবতরণ করল। পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ডের ৬.৮৯ লক্ষ ডোজ এই বিমানেই রাজ্যে এসে পৌঁছল। এখান থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সরবরাহ করা হবে করোনা টিকা। সেখানকার জন্য বরাদ্দ আরও ৩ লক্ষ ডোজও পৌঁছে গিয়েছে। ১৬ তারিখ থেকে দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে করোনা টিকাকরণ। তার বেশ কয়েকদিন আগেই কলকাতায় এসে পৌঁছল প্রতিষেধক। তাতে প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হবে বলে মত স্বাস্থ্য মহলের।
মঙ্গলবার স্পাইসজেটের বিমানে ফ্রিজার ট্রাকে মোট ৬.৮৯ লক্ষ ভ্যাকসিন পুণে থেকে এসে পৌঁছয় দমদম বিমানবন্দরে। দুপুর ২.৩৫ মিনিট নাগাদ বিমানটি থেকে দুটি ফ্রিজার ট্রাক বের করা হয়। তা নির্দিষ্ট গন্তব্যে রওনা দেয়। ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য নির্ধারিত কোল্ড স্টোরেজে এবার তা পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখান থেকে জেলায় জেলায় পৌঁছবে করোনা টিকা – কোভিশিল্ড। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে মঙ্গলবারই ভ্যাকসিন যাবে। বুধবার ভোরে লঞ্চে ভ্যাকসিন যাবে সাগর, সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকায়। পাহাড়েও বুধবারই পৌঁছবে করোনা টিকা।
[আরও পড়ুন: বাংলায় অস্তিত্ব নেই করোনার নতুন ‘বিলিতি’ স্ট্রেনের, রাজ্যকে স্বস্তি দিয়ে জানাল কেন্দ্র]
কীভাবে বিমানবন্দর থেকে ভ্যাকসিনের ফ্রিজার গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে? সেই পদ্ধতি বিস্তারিত জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে। বিমানবন্দর থেকে ২৮ টি গাড়ির কনভয় ফ্রিজার ট্রাক ভরতি ভ্যাকসিন গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। পুলিশের গ্রিন করিডর করে কনভয়টি নিয়ে যাবে নির্দিষ্ট কোল্ড চেনে। সেখানেই সংরক্ষণ করা হবে কোভিশিল্ড। প্রতিটি কোল্ড চেনে বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। এই যাতায়াতের কারণে ভ্যাকসিনের অ্যামপুল ভাঙতে পারে, তাতে ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সর্বোচ্চ স্তরে সাবধানতা অবলম্বনের পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০ শতাংশ টিকা সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য প্রশাসন। কোল্ড চেনে ভ্যাকসিনের সংরক্ষণ হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট যাতে না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।