shono
Advertisement

ফ্রোজেন ফুডে লুকিয়ে করোনার বিপদ, শপিং মলে কেনাকাটায় সাবধান করলেন বিশেষজ্ঞরা

বাজারে বরফে রাখা মাছের ক্ষেত্রেও সাবধান হতে হবে ক্রেতাকে। The post ফ্রোজেন ফুডে লুকিয়ে করোনার বিপদ, শপিং মলে কেনাকাটায় সাবধান করলেন বিশেষজ্ঞরা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 10:47 PM Jun 23, 2020Updated: 10:50 PM Jun 23, 2020

অভিরূপ দাস: আধভাজা চিকেন পকোড়া। রেফ্রিজারেটরের ঠান্ডায় জমা প্রায়। কিনে বাড়ি ফিরে একটু তেলে ছেড়ে দিলেই হল। শপিং মল বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের রেফ্রিজারেটরে থাকা এমন ‘রেডি টু কুক’ খাবারের প্যাকেট ধরার আগে সাবধান। আপনার শরীরে ঢুকে পড়তেই পারে করোনা ভাইরাস। মাইনাস কুড়ি ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে SARS-CoV-2। এক-দুই নয়, টানা কুড়ি বছর। চিনের নয়া গবেষণার তথ্য জানার পর তাই ফ্রোজেন ফুডের প্যাকেটে হাত বাড়ানোয় আপাতত ইতি।

Advertisement

শুধু ফ্রোজেন ফুড প্যাকেটই নয়, শপিং মলের প্যাকেজড মাছ, মাংস সবই রেফ্রিজারেটরের মধ্যে থাকে। স্থানীয় বাজারে গিয়েও বরফে ঢাকা সামুদ্রিক মাছ নেড়েচেড়ে দেখেন ক্রেতা। এই সমস্ত মাছ আসে ভিনরাজ্য থেকে। রাজ্য সরকারের বাজারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, “বাজারে আনার আগে মাছ স্যানিটাইজ করা সম্ভব নয়। যে সমস্ত মাছ বরফে থাকে তা হাত দিয়ে না দেখে বরং চোখে দেখেই পছন্দ করুক ক্রেতা। ব্যাগে করে বাড়িতে এনে তারপর গরম জলে ভাল করে ধুয়ে নিলেই ভাইরাস দূর হবে। তখন আর ভয় থাকবে না।”

[আরও পড়ুন: করোনা রোধে নয়া প্রযুক্তি, স্যানিটাইজড হেলমেট মাস্ক তৈরি করে তাক লাগালেন শিলিগুড়ির যুবক]

চিনের এপিডেমিওলজিস্টদের পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাইনাস ৪ ডিগ্রিতে কয়েক মাস বেঁচে থাকতে পারে নোভেল করোনা ভাইরাস। তবে শৈত্যপ্রবাহ যত প্রবল ততই জোরদার করোনা। সম্প্রতি চিনের হাংঝউতে করোনা নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সেখানেই প্রফেসর লি লানজুয়ান ব্যাখ্যা করেছেন ঠান্ডায় কতটা টিকতে পারে নোভেল করোনা ভাইরাস। সাধারণত সামুদ্রিক মাছ বরফে মুড়েই বাজারে আসে। রুপোলি শস্য ইলিশ তো অবশ্যই। বরফে না রাখলে দ্রুত পচন ধরে ইলিশে। নদী বা সাগর থেকে ধরার পর, বরফ দিয়েই ট্রলার বা ট্রাকে করে শহরের বাজারে আসে ইলিশ।

শহরের শপিং মলে ট্রাউট, স্যামন জাতীয় মাছ রেফ্রিজারেটরেই থাকে। মলের কর্মীরা জানিয়েছেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, নাগেটস জাতীয় খাবার ঠান্ডায় না রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই সমস্ত বেশিরভাগ খাবারই ভিনরাজ্য থেকে আসে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস যদিও আতঙ্কিত হতে বারণ করেছেন। বরং সাবধানতা অবলম্বন করাতেই উপকার বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর পরামর্শ, “মলে যে কোনও জিনিস গ্লাভস পরে ছোঁয়াই ভাল। লক্ষ রাখতে হবে কোনও জিনিস হাত দিয়ে ধরার পর সেই হাত মুখে যেন না দেওয়া হয়। মুখে মাস্ক তো পরবেনই। সবসময় সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখাও বুদ্ধির কাজ।”

[আরও পড়ুন: করোনার অব্যর্থ দাওয়াই আবিষ্কারের দাবি নাইজেরিয়ার বিজ্ঞানীদের]

চিনে দ্বিতীয়বার ভাইরাসের হানাতেও এই ফ্রোজেন ফুডকেই দায়ী করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বরফে ঢাকা কাঁচা মাছ-মাংসের বাজারের থেকেই সংক্রমণ ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, স্যামন মাছের আমদানি বা প্যাকেজিং থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এখনই এমনটা বলা যাবে না।

The post ফ্রোজেন ফুডে লুকিয়ে করোনার বিপদ, শপিং মলে কেনাকাটায় সাবধান করলেন বিশেষজ্ঞরা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement