সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (CoronaVirus) মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে যাতে অর্থ সংকটের সম্মুখীন না হতে হয়, তা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। কোভিড পরিস্থিতিতে জরুরি ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রস্তুতির জন্য কেন্দ্র যে অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিল, শুক্রবার তার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা তুলে দেওয়া হল রাজ্যগুলির হাতে। এই অর্থ দিয়ে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন, ভেন্টিলেটর কেনা, থার্মাল স্ক্যানার এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
একে অতিমারী, তার উপর দেশে একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অথচ, সেই অতিমারীর বছরেই কেন্দ্রের রাজস্ব ভাগ বাবদ গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকা পেয়েছে রাজ্যগুলি। যা নিয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে অসন্তোষ ছিল। করোনার ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) কেনা নিয়েও এর আগে একাধিক রাজ্যের প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্র। কিন্তু নতুন মন্ত্রিসভার শপথের পরই আগের ‘ভুল’ শুধরে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। নতুন মন্ত্রিসভার শপথের পরই করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ২৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যেই একটা বড় অংশ দেওয়ার কথা রাজ্যগুলিকে। রাজ্যগুলি যাতে আগেভাগে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রস্তুতি নিতে পারে সেটা নিশ্চিত করাই আসল উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির জন্য ঘোষিত অনুদানের ১৫ শতাংশ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছিল। রবিবার আরও ৩৫ শতাংশ টাকা রাজ্যগুলিকে দেওয়া হল। অর্থাৎ রাজ্যগুলি মোট অনুদানের ৫০ শতাংশ হাতে পেয়ে গেল। কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ২৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৭ হাজার কোটি টাকা সরাসরি রাজ্যগুলিকে চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পৌঁছে গেল রাজ্যগুলির হাতে।
[আরও পড়ুন: Rajib in Tripura: পুজোর পরই তৃণমূলে ফিরছেন রাজীব! জল মাপতেই কি চুপিসারে ত্রিপুরায়?]
গত এপ্রিল মাসেই দেশে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ। তারপর অক্সিজেনের ঘাটতি ও হাসপাতালে বেডের অভাবের ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। যার ফলে প্রবল সমালোচনায় পড়তে হয়েছিল মোদি সরকারকে। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র। তাছাড়া করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এতদিন কেন্দ্র রাজ্য সমন্বয়ের অভাবের যে অভিযোগ উঠছিল, সেটাও ঝেড়ে ফেলতে চায় মোদি (Narendra Modi) সরকার।