সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। ভ্যাকসিনের সংকট। এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও করোনাযুদ্ধে এগোচ্ছে বাংলা। কমছে দৈনিক সংক্রমণ, মৃত্যুর হার। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩০ জন। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৮০০র বেশি। আর একদিনে করোনার বলি মাত্র ৮। শুক্রবার তা ছিল ১৬। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের (COVID-19) কবলমুক্ত হয়েছেন রাজ্যের ৯২০ জন। এ নিয়ে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৮.০৩ শতাংশে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগে পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথেষ্ট কড়া রাজ্য প্রশাসন। এখনও রাজ্যে কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত তা থাকবে। নাইট কারফিউ, গণপরিবহণের ৫০ শতাংশ যাত্রী-সহ একগুচ্ছ করোনাবিধি মেনে চলতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। তার সুফলও অবশ্য মিলেছে। রাজ্যের দৈনিক কোভিড গ্রাফ নিম্নমুখী। মাঝে অনেকটাই কমেছিল সংক্রমণ। কিন্তু তারপর আবার একাধিক কারণে খানিকটা বেড়ে যায়। শুক্রবারও তা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু শনিবারের পরিসংখ্যানে কিছুটা কমল উদ্বেগ। এ নিয়ে রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৭৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৬৪ জনের।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: অক্সিজেন সংকট কাটাতে টোটোকে Ambulanceএ বদলে দিলেন কাটোয়ার যুবক]
তবে এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দার্জিলিং জেলা। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় দৈনিক সংক্রমিত ৮৬ জন। আর কলকাতায় তা অনেক কম – ৫৮ জন। করোনাযুদ্ধে সবচেয়ে এগিয়ে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ। এই দুই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনেরও কম করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। এদিকে, রাজ্যে টিকার (Corona vaccine) সংকটও রয়েছে। পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ না হওয়ায় মাঝেমধ্যে বন্ধ রাখতে হচ্ছে টিকাদান কেন্দ্রগুলি। সুষ্ঠুভাবে টিকাদানের জন্য কলকাতা পুরসভা নয়া নিয়ম চালু করেছে। এবার থেকে টিকা নেওয়ার আগেরদিন প্রাপকদের টোকেন দেওয়া হবে। যাতে এ নিয়ে কোনও জালিয়াতির সুযোগ তৈরি না হয়। আশা, এর মধ্যে দিয়েই যথাযথভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে শহরবাসীকে।