সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের প্রাক্কালে রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী কোভিড (COVID-19)গ্রাফ। চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার তা আরও বাড়ল। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৩ জন, মঙ্গলবারও তা ছিল ৭২০। একদিনে করোনার বলি ১২। করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন রাজ্যের ৮১১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩১ শতাংশ। সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা। একদিনে এখানেই আক্রান্তের সংখ্যা আড়াইশো ছুঁইছুঁই।
গত কয়েকদিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছ’শোর কোঠায় ছিল। মঙ্গলবার থেকে তা লাফিয়ে বেড়েছে। আর বুধবার তা আরও বেড়ে ৮০০ ছাড়িয়ে গেল। এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই (Kolkata) আক্রান্ত ২৪৭। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ১৪৪ জন। করোনাযুদ্ধে সবচেয়ে এগিয়ে পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, কালিম্পং। এই তিন জেলায় নতুন করে আক্রান্ত ১ এবং ২। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,১১,৯৮৩। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫,৮৪,৬৭০জন। আর মহামারীর কবলে প্রাণ গিয়েছে মোট ৭৮৯৪ জনের।
[আরও পড়ুন: আগামী মাসেই রাজ্য বিজেপিতে বড়সড় রদবদল, নতুন কমিটিতে মহিলাদের প্রাধান্য]
স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯টি, এর মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট ২.০৬ শতাংশ। করোনা প্রতিরোধে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ। ইতিমধ্যে রাজ্যের ৭ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। তবে এ রাজ্যে পরীক্ষা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এদিন এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।
[আরও পড়ুন: ‘বউ ফেরত চাই’, স্ত্রী ও সন্তানকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় যুবক]
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২২ নভেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ৩৮ হাজার ৬০০ জনের কোভিড টেস্ট হয়েছে। তবে ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত দৈনিক ৬৭ হাজার ৬৪৪ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। গত এক মাসে কলকাতা-সহ দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়িতে পজিটিভিটি রেট ২ শতাংশেরও বেশি। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে করোনা পরীক্ষা কমেছে অনেকটাই। সেই পরিসংখ্যানও উল্লেখ করেছেন রাজেশ ভূষণ।