সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কেরল এবং কর্ণাটক। দেশের একাধিক রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। যার ফলে সার্বিকভাবে দেশের কোভিড গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই প্রায় চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার সেটা আরও বেড়ে পৌঁছে গেল ১৩ হাজারের কাছাকাছি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৪৭ জন। যা গতকালের থেকে সামান্য হলেও বেশি। এর মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত ৪ হাজারের বেশি। উদ্ধব প্রশাসনকে চিন্তায় রাখছে ৫-৬টি জেলা। রাজধানী দিল্লির অবস্থাও তথৈবচ। রাজধানীতে গত ১০ দিনে ৭ হাজারের বেশি মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: মা হাসপাতালে, ইডির কাছে সোমবার পর্যন্ত ‘ছুটি’ চাইলেন রাহুল গান্ধী]
বর্তমানে দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস ৬৩ হাজার ৬৩ জন। যা গতকালের থেকে ৪ হাজার ৮৪৮ জন বেশি। দেশে অ্যাকটিভ কেসের ০.১৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। দৈনিক পজিটিভিটি রেট বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছে আড়াই শতাংশের কাছাকাছি। রিপোর্ট বলছে, একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। এই সংখ্যাটাই খানিকটা স্বস্তির। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮১৭ জন।
[আরও পড়ুন: পেন্টাগনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাধা আয়েঙ্গার, বাইডেন প্রশাসনে ফের জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের]
করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি সুস্থতার হারও চিন্তাজনক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৯৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন মাত্র ৭ হাজার ৯৮৫ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৬৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৫ কোটি ৮৪ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা (Corona Vaccine) দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ।