সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বিশেষজ্ঞরা ইউহানের তিনটি গবেষণাগার ঘুরে রিপোর্ট দিয়েছেন যে, সেখান থেকে করোনা ছড়ায়নি। তবে বিশেষজ্ঞ দলের একজন জানাচ্ছেন, ল্যাবরেটরি তত্ত্বকে উড়িয়ে দিলেও চিনে বন্যপ্রাণী নিয়ে যে ব্যবসা চলে সেখান থেকে করোনা ছড়াতেই পারে।
[আরও পড়ুন: রক্তে ভাসছে মায়ানমার! আরও ৮ গণতন্ত্রকামীকে গুলি করে মারল সেনা]
বিশেষজ্ঞ দল থেকে পিটার দাসজ্যাক জানান, দক্ষিণ চিনের হুনান সিফুড হোলসেল মার্কেটে যেখানে প্রথম করোনার সংক্রমিত হয়, সেই চত্বর থেকেই করোনা ছড়াতে পারে। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের চিনের রিপোর্ট প্রকাশ করবে। দাসজ্যাক আরও জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চিন বন্যপ্রাণী নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দলের প্রাথমিক ধারণা, দক্ষিণ চিন থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে, সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের দু’মাস আগে থেকেই সাধারণ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়া সান দিয়াগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণা বলছে, শুরু থেকে তিনমাসে সার্স-কোভ-টুয়ের মিউটেশন হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এক বছরে পৃথিবীটাই যেন বদলে দিয়েছে কোভিড-১৯ (COVID-19)। চিনের (China) ইউহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ার পরে অতিমারীর আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। প্রথম থেকেই নানা জল্পনা শোনা গিয়েছে মারণ ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে। প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প-সহ অনেকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন বেজিংয়ের দিকে। প্রশ্ন উঠেছিল, ইউহানের মাছ-মাংসের বাজার থেকেই সংক্রমণের শুরুয়াৎ? আবার অনেকেই দাবি করতে থাকেন, ইউহানের ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই ভাইরাস! যদিও বরাবর সমস্ত অভিযোগ নাকচ করে এসেছে চিন। পালটা ইউরোপ থেকে করোনা ছড়িয়েছে বলেও দাবি করেছিল কমিউনিস্ট দেশটি। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ সেই মিথ্যাচার প্রকাশ্যে আনলেন।