সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Corona) করাল গ্রাস থেকে এখনও মুক্তি পায়নি পৃথিবী। এর থাবায় বিপর্যস্ত বিশ্বের বহু দেশের মানুষের জীবনযাত্রা। বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা একপ্রকার পুরোপুরি বদলে দিয়েছে এই মহামারী। এরই মধ্যে নতুন সতর্কতা নিয়ে হাজির বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO বলছে, করোনাই শেষ মহামারী নয়। বিশ্ববাসীকে এখনই পরবর্তী মহামারীর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। যাতে পরবর্তী মহামারী এলে আমরা আরও ভালভাবে তার মোকাবিলা করতে পারি।
রবিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে প্রথম ‘মহামারী প্রস্তুতি’ দিবস। সদ্যই রাষ্ট্রসংঘ সদস্য দেশগুলিকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন সংঠনকে ২৭ ডিসেম্বর দিনটি মহামারী প্রস্তুতি দিবস হিসেবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছে। এখন থেকে প্রতিবছর ২৭ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে মহামারী প্রস্তুতি দিবস পালিত হবে। সেই উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলছেন,”ইতিহাস সাক্ষী, এটাই শেষ মহামারী নয়। অতিমারী আমাদের জীবনের অঙ্গ। এই মহামারী মানুষ, পশু এবং পরিবেশের স্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর সম্পর্কের কথা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পরিবেশ, পশুপাখি সবকিছুর উপর যে বিপদ নেমে আসছে সেটা আগে প্রতিরোধ করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: মার্চ-মে মাসে ভারতেও দাপট ছিল করোনার ‘সুপারস্প্রেডার’ স্ট্রেনের! দাবি গবেষকদের]
গোটা বিশ্ব মহামারী রুখতে যে পন্থা অবলম্বন করছে, তাতে সন্তুষ্ট নন WHO কর্তা। তিনি বলছেন,”যখনই কোনও মহামারী আঘাত হানে, আমরা কোটি কোটি অর্থব্যয় করি। তারপর থেমে যায়। ওই মহামারীর কথা ভুলে যায় এবং এরপর যে মহামারী আসছে, তার সঙ্গে লড়াই করার প্রস্তুতি নিই না। এটা বিপজ্জনক দুরদৃষ্টিহীনতা। এবং কেন এটা হয়, বোঝা কঠিন।” টেড্রোস বলছেন, এবার সময় এসেছে এই পরিস্থিতি বদলানোর। WHO প্রধান বিশ্বের সব দেশের কাছে অনুরোধ করেছেন, দয়া করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরও বেশি বেশি করে বিনিয়োগ করুন। বিশেষ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যে। যাতে আমাদের সন্তানরা এবং তাঁদের সন্তানরা, মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগাড় করতে পারে।