সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) দাপট নিশ্চিহ্নের পথে। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ কমল অনেকটাই। নিম্নমুখী মৃত্যুহারও। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সুস্থতার হারও বেড়েছে। এদিকে, টিকাকরণে আরও জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্যভবন। পুজোর আগেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।
শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৮। শুক্রবার যা ছিল ৪০০। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫২৭ জন। শতকরা হিসেবে ৯৮.৭৯ শতাংশ। এনিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ২০,৭৮,৯৪১। কোভিড (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছিলেন ২১,০৪,৪৫৯ জন। করোনার বলি মোট ২১,৪৩৭।
[আরও পড়ুন: অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে রাধাকৃষ্ণের ‘অশ্লীল’ ছবি, নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘বয়কট আমাজন’]
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮২২৯ টি, যার মধ্যে পজিটিভিটি রেট ৩.৬২ শতাংশ। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ (Active cases) রোগীর সংখ্যা ৪০৮১। এর মধ্যে মাত্র ১৫৩ জন হাসপাতালে রয়েছেন, বাকিরা রয়েছেন হোম আইসোলেশনে।
[আরও পড়ুন: ডুরান্ড অভিযানের শুরুতেই ধাক্কা, রাজস্থান ইউনাইটেডের কাছে পরাস্ত মোহনবাগান]
এদিকে, রাজ্যে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ। একদিনেই ১,০৬,৩৮৪ ডোজ দেওয়া হয়েছে। বুস্টার ডোজে আরও জোর দেওয়ার নির্দেশিকা এসেছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে। জানা গিয়েছে, পুজোর আগেই শেষ করতে হবে বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়ার কাজ। জেলা ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে এমনই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। দেখা যাচ্ছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে নাগরিকদের ।যত উৎসাহ ছিল, বুস্টার ডোজে ততটা আগ্রহী নয়। তবে সতর্কতার স্বার্থে এবং আসন্ন উৎসবের মরশুমে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই বুস্টার ডোজ দিতে চাইছে প্রশাসন। এছাড়া মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে সামান্য উদাসীনতাও বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাই ভিড়ে ঠাসা এলাকায় গেলে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ চিকিৎসকদের। ঘন ঘন ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজারও।