ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও গৌতম ব্রহ্ম: রাজ্যে মৃত্যু হল করোনা আক্রান্ত এক রোগীর। বিটি রোডের ধারে এক বেসরকারি নার্সিংহোমে আজ সকালে সাড়ে ন’টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। নার্সিংহোম সূত্রে খবর, আড়িয়াদহের বাসিন্দা এই ব্যক্তির কোনও বিদেশ যোগ ছিল না। তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন।
নার্সিংহোম সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ২৩ মার্চ সেই সমস্যা নিয়ে বেলঘরিয়ার ওই নার্সিংহোমে ডায়ালিসিস করাতে যান। এলাকায় একটি ফাস্ট ফুডের দোকান ছিল তাঁর। ডায়ালিসিস করিয়ে ফেরার পর সেই দোকানেও যান। কিন্তু তার পরের দিন থেকে অসুস্থ বোধ করতে থাকায় ফের নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইসোলেশনে রেখেই চিকিৎসা শুরু হয়। COVID-19 পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাতে পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ। তারপরই পরিবারের সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: ‘ভয় পাবেন না করোনাকে’, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে সাহস জোগাচ্ছেন হাবড়ার ছাত্রী]
এরপর আজ সকাল থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। নার্সিংহোম সূত্রে খবর, সকাল ৯ টা ২৫ এ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আপাতত মৃতদেহ রয়েছে নার্সিংহোমেই। কীভাবে শেষকৃত্য হবে, তা নিয়ে চিন্তিত সকলে। কারণ, করোনা পজিটিভ কোনও রোগীর মৃত্যু হলে, তাঁর সৎকার করতে হয় WHO’র গাইডলাইন মেনে। অর্থাৎ ত্রিস্তরীয় বিশেষ প্যাকেটে মৃতদেহ পুরে, লোকালয় থেকে বহু দূরে সৎকার করা হয়। তার জন্য কলকাতায় ধাপার মাঠ এবং বাগমারি – এই দুই স্থান সৎকারের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। বেলঘরিয়ার এই ব্যক্তির শেষকৃত্যও ধাপার মাঠেই হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।
[আরও পড়ুন: মানবিক, রেশন কার্ডহীন ১৬ লক্ষ মানুষকে ছ’মাসের ফুড কুপন দিচ্ছে রাজ্য]
তবে এই ব্যক্তি কীভাবে করোনা সংক্রমিত হলেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশা। যেহেতু বিদেশ বা রাজ্যের বাইরে কোথাও তিনি সাম্প্রতিককালে যাননি, তাই বাইরে থেকে করোনা ভাইরাস তাঁর শরীরে প্রবেশ করেনি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এদিকে, যে নার্সিংহোমে তিনি ভরতি ছিলেন, তাদের দাবি যে নিয়ম মেনে পিপিই-সহ আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা করা হয়েছে। তাই গোটা নার্সিংহোমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই বলেই আশ্বস্ত করছেন চিকিৎসকরা।
The post রাজ্যে মৃত্যু করোনা আক্রান্ত আরেক ব্যক্তির, নার্সিংহোমে প্রাণ হারালেন বেলঘরিয়ার প্রবীণ appeared first on Sangbad Pratidin.
