সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝারি ও গুরুতর উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে স্বল্পমূল্যের স্টেরয়েড ডেক্সামিথাজোন (dexamethasone)। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার মাঝারি ও গুরুতর উপসর্গযুক্ত রোগীর চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহারে সিলমোহর দেয়। হু (WHO)-এর তরফে দ্রুত ওই ওষুধ তৈরির জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশে বাড়ছে সুস্থতার হার। মহামারীর হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে যারপরনাই চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। মাঝারি ও গুরুতর উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে স্বল্পমূল্যের স্টেরয়েড ডেক্সামিথাজোন ব্যবহার করার অনুমতি দেয় কেন্দ্র। ব্রিটেনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরে জানা গিয়েছে, গুরুতর উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের বাঁচাতে সক্ষম ডেক্সামিথাজোন। পূর্বে আর্থ্রাইটিসের (arthritis) মতো রোগে প্রদাহ কমানোর জন্য ডেক্সামিথাজোন ব্যবহার করা হত। বর্তমানে যে কোভিড রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তাঁদেরও ওই ওষুধ দেওয়া যাবে বলে জানা যায়।
[আরও পড়ুন:লকডাউনে ক্ষতির মুখে একাধিক শিল্প, বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে টাটা গ্রুপ]
গত ৬০ বছর ধরে ডেক্সামিথাজোন নামে ওষুধটি সাধারণত প্রদাহ কমাতে চিকিৎসকরা ব্যবহার করার পরামর্শ দিতেন। কিছুদিন আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক গুরুতর উপসর্গযুক্ত প্রায় ২ হাজার করোনা রোগীর উপরে ওই ওষুধ প্রয়োগ করেন। তাতে দেখা যায়, মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ কমেছে। তাতেই এই ওষুধের প্রয়োগ নিয়ে আশার আলো দেখেন বিজ্ঞানীরা। হু-এর মতে, কেবলমাত্র গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তদের উপরেই ডেক্সামিথাজোন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেই রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। এরই মধ্যে কোভিডের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ওষুধটিও ব্যবহার করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:‘করোনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী’, ফের টুইটে খোঁচা রাহুলের]
ইতিমধ্যেই শুক্রবার ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৫২ জন। ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা দেশে রেকর্ড তৈরি করেছে। ফলে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৯৫৩ জন। বিশ্বের দরবারে সংক্রমণের নিরিখে ভারত চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
The post কোভিড চিকিৎসায় ডেক্সামিথাজোন ব্যবহারে অনুমতি দিল কেন্দ্র appeared first on Sangbad Pratidin.