সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উদ্ধার হল ১৯৬৬ সালের এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনায় মৃত বিমান যাত্রীদের দেহাংশ। ফ্রেঞ্চ আল্পসের মঁ ব্লাঁ পর্বতে পাওয়া মানব দেহের অংশই সম্ভবত ৫০ বছর আগে দুর্ঘটনায় পড়া দুটি এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের কোনও একটির যাত্রীদের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[উত্তরাখণ্ডে দাবানল: গলছে হিমবাহ, দূষিত নদী, বিপন্ন বন্যপ্রাণ]
ওই বিমান দুর্ঘটনা নিয়েই গবেষণা করছেন ড্যানিয়েল রস নামে এক বিশেষজ্ঞ। মঁ ব্লাঁ-র বসনস হিমবাহতেই তিনি সন্ধান চালাচ্ছিলেন দেহাংশের। অবশেষে খোঁজ মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে একটি হাত ও একটি পায়ের ঊর্ধ্বাংশ। ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি মাসে মঁ ব্লাঁ পর্বতে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং-৭০৭ বিমান মুম্বই থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে। বিমানে ছিলেন ১১৭ জন যাত্রী। মারা যান সকলেই। এর আগে ১৯৫০ সালেই ওই এলাকায় ভেঙে পড়ে আর একটি এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। প্রাণ হারান ৪৮ জন।
[পর্বতশৃঙ্গ, অরণ্য আর হিমবাহের অপরূপ মিশেল যেখানে]
রসের ধারণা, যে দেহাংশ তিনি উদ্ধার করেছেন, তা সম্ভবত বোয়িং-৭০৭ বিমানের কোনও মহিলা যাত্রীর। এমনকি ওই বিমানের চারটি জেট ইঞ্জিনের একটি খুঁজে পেয়েছেন তিনি। ওই দেহাংশ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা তা পরীক্ষা করে দেখছেন। তবে ওই হাত ও পায়ের টুকরো আলাদ আলাদা মানুষের বলেই মনে করছেন তাঁরা।
[আন্টার্কটিকায় বেড়াতে যেতে চান? স্বপ্নপূরণ করবে এই সংস্থা]
প্রসঙ্গত, আল্পসের হিমবাহের খাঁজে বেশ কিছুদিন আগে উদ্ধার হয়েছিল মার্সেলিন ডুমউলিন ও ফ্র্যাঙ্কেইন ডুমউলিনের দেহ। এই দম্পতি ৭৫ বছর আগে, ১৯৪২ সালে নিখোঁজ হয়ে যান গরুর দুধ আনতে গিয়ে। তাঁরা সুইজারল্যান্ডের ভালাই ক্যান্টনের বাসিন্দা ছিলেন। সম্প্রতি তাঁদের দেহ উদ্ধার করেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। দেহের পাশেই মিলেছে তাঁদের পরিচয়পত্র। তাও অবিকৃত। দেহ দুটি আবিষ্কার হয় সুইজারল্যান্ডের সানফ্লিউরন হিমবাহের মধ্যে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৮,৬০০ ফুট উচ্চতায়। মার্সেলিন জুতো তৈরি করতেন। ফ্র্যাঙ্কেইন ছিলেন শিক্ষিকা। পোষা গরুদের চরাতে গিয়ে হিমবাহ ধসে চাপা পড়ে যান দুজনেই। দিনটা ছিল ১৯৪২ সালের ১৫ই অগাষ্ট। তার পর আর ফিরে আসেননি তাঁরা।
The post মঁ ব্লাঁ পর্বতে উদ্ধার এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের যাত্রীদের দেহাংশ! appeared first on Sangbad Pratidin.