রাহুল রায়: কাউন্সিলরের অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় বদলির অভিযোগ। অভিযুক্ত বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষিকা। মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, অবিলম্বে শিক্ষিকার বেতন চালু করতে হবে।
ওই শিক্ষিকার আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি ঋতুপর্ণা ঘোষ নামে ওই শিক্ষিকার বোলপুরের নানুরের সাঁওতা কিরশশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন। ২০১৫ সালে তিনি দুর্ঘটনার কবলে পরেন। অসুস্থ হওয়ায় বাড়ির কাছের কোনও স্কুলে বদলির আবেদন করেন। ২০১৮ সালে তিনি বদলি হয়ে যান বোলপুরের রবীন্দ্র শিক্ষনিকেতনে। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর তিনি টিচার ইনচার্জ পদে উন্নীত হন।
[আরও পড়ুন: কাটছেই না রাজ্য সংগঠনের দুর্বলতা, আলোচনা করতে কলকাতায় আসছে BJP’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ]
কিন্তু শিক্ষিকার অভিযোগ, পুরসভার ১৫ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নানান অনৈতিক কাজে যুক্ত। তিনি স্কুলকে নিজের কাজে ব্যবহার করতে চান। আর তাতে বাধা দেওয়ায় ওই কাউন্সিলরের নির্দেশে তাঁকে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বোলপুরের যাদবপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। কিন্তু এই স্কুলটি বাড়ি থেকে অনেক দূর। ফলে সেখানে তিনি যোগ দেননি তিনি। উলটে নিজের পুরোনো স্কুলে ফিরতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন শিক্ষিকা।
মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, অবিলম্বে শিক্ষিকার বেতন চালু করতে হবে। এছাড়াও শিক্ষিকার বদলির জন্য তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বীরভূমের হাসপাতালে নয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করতে হবে। ডিসেম্বরে মামলার পরবর্তী শুনানি।